তিনি বলেছেন, “খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার ছবি দিয়ে বিএনপি প্রার্থীরা পোস্টার করছে। দণ্ডপ্রাপ্ত, অপরাধীর ছবি পোস্টারে দিয়ে নির্বাচন করার অধিকার নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, একজন অপরাধীর ছবি সংবলিত পোস্টার কীভাবে করা হয়?”
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকার সেগুন বাগিচায় কচিকাঁচার মেলার আসরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের আলোচনা সভায় বক্তব্যে এই প্রশ্ন তোলেন খালিদ।
দুর্নীতি দুটি মামলায় দণ্ড নিয়ে এখন বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার মুক্তির দাবি সামনে রেখে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি।
নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী, দলীয় প্রতীকের প্রার্থীরা তাদের পোস্টার ও প্রচারে দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার করতে পারে। সেই অনুযায়ী ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার করছেন।
নির্বাচনে সমান সুযোগ পাচ্ছেন না বলে বিএনপির অভিযোগের পাল্টায় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ বলেন, “বাংলাদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরা নির্বাচন করবে, আর সেই নির্বাচনে যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, সেই নির্বাচন কখনও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে পারে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তখনই হবে, যখন একজন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আরেকজন নির্বাচন করবে।”
স্বাধীনতাবিরোধীদের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য জিয়াউর রহমান, এইচএম এরশাদ ও খালেদা জিয়াকে দায়ী করে তিনি বলেন, “তারপরও আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল আছি, তার মানে এই নয় যে এই ধরনের যুদ্ধাপরাধী আর স্বাধীনতাবিরোধী যারা আছে, তাদের মেনে নেব।”
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে চিরতরে নির্মূলের আহ্বান জানিয়ে খালিদ বলেন, “আমরা স্বাধীনতার সুখ তখনই অনুভব করব, যখন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ হবে; যখন দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পদার্পণ করবে।
“এই স্বাধীনতার সুখ অনুভব করার সবচেয়ে বড় অন্তরায় হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। তাদেরকে শুধু নিয়ন্ত্রণ করলে হবে না, চিরতরে নির্মূল করতে হবে।”
জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের সভাপতি সালাউদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গীতিকার সাফাত খৈয়াম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান সুলতান।