মনে সংশয় নিয়েই আশা দিচ্ছেন ইশরাক

ভোট নিয়ে নিজের মনে সংশয়-শঙ্কা থাকলেও ভোটারদের একটি বাসযোগ্য নগরী উপহার দেওয়ার আশাও দিচ্ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।

মাসুম বিল্লাহ নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2020, 03:43 AM
Updated : 15 Jan 2020, 12:26 PM

বাবার ’অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন’ করার মাধ্যমেই সেই কাজটি এগিয়ে নিতে চান অবিভক্ত ঢাকার শেষ মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে।

মেয়র নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা নিরসন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশা নিয়ন্ত্রণ এবং যানজট মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও বলছেন ইশরাক।

তবে দক্ষিণের মেয়রের আসনে বসতে হলে রাজনীতিতে নবিশ ইশরাককে মোকাবেলা করতে হবে ফজলে নূর তাপসের মত অভিজ্ঞ প্রার্থীকে। কয়েক মেয়াদের সংসদ সদস্য তাপস দক্ষিণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

যুক্তরাজ্যের হার্টফোর্ডশায়ার ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে আসা ইশরাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে সংশয়ের কথা, জানিয়েছেন তার বাবার অসমাপ্ত কাজ শেষে করার ইচ্ছা।

সন্দেহ-শঙ্কা

সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিস্থিতি নেই বলে এখনও মনে করেন বিএনপির প্রার্থী ইশরাক।

তিনি বলেন, “সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমরা অতীতে দেখেছি, একই নির্বাচন কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, সেটা আগের রাতেই হয়ে যায়, এটার নজির দেশবাসীর কাছে রয়েছে।

”আমি বলতে চাই, নির্বাচন কমিশনের যে সাংবিধানিক ক্ষমতা রয়েছে, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে জন্য, সেই সকল ক্ষমতা তারা প্রয়োগ করতে পারবে কিনা বা পালন করার সদিচ্ছা রয়েছে কিনা, সেটাতে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।”

নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, “আমরা প্রশ্ন হল, প্রশাসনের ভূমিকা কী হবে? আপনারা জানেন, জাতীয় নির্বাচনে আগে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে মাঠ শূন্য করে দেওয়া হয়েছে। সেটি এখানেও দেখার বিষয় রয়েছে। সময় গেলে বোঝা যাবে, এখানে কী হয়।”

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে বিএনপি নেতাদের মতো আশঙ্কার কথা জানাচ্ছেন ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক।

এর কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ”ইভিএম একটি মেশিন, যা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার দ্বারা পরিচালিত হয়। সে সফটওয়্যারের ভেতরে কোনো ম্যানিপুলেশন হয়েছে কি না, হস্তক্ষেপ রয়েছে কি না, সেটি নিয়ে আমাদের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ আমরা জানি না, এই মেশিনগুলো ঠিক কীভাবে তৈরি হয়েছে, কারা তৈরি করেছে।

”আমরা মনে করি, আলটিমেটলি আমাদেরকে প্রযুক্তির দিকেই যেতে হবে। কিন্তু যারা এই মেশিনকে অপারেট করছে বা ম্যান বিহাইন্ড দ্য মেশিন নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। তারা কি আসলে সঠিক ও নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবে? নাকি অতীতের ধারাবাহিকতা রেখে পক্ষপাতিত্ব করবে।”

গত জাতীয় নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহৃত ইভিএম হুট করে বন্ধ হওয়া এবং চালু করতে সময়ক্ষেপণের কথা তুলে ধরেন ইশরাক।

তিনি বলেন, “কয়েকটি সমস্যার মধ্যে আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি, চালুর ঘণ্টাখানেক পর ইভিএম মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে সেগুলোকে রিপ্লেস করার জন্য দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়, এক থেকে দেড় ঘণ্টা। তার মধ্যে ভোটারদের লাইন অনেক লম্বা হয়ে যাওয়ার ফলে অনেক ভোটার ত্যক্তবিরক্ত হয়ে ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করে। এটি একটি বড় সমস্যা বলে আমি মনে করি।”

ইভিএমের পরিচিত না হওয়ায় নগরবাসীর ঠিকমতো ভোট দেওয়া নিয়ে ’সন্দিহান’ বলে মন্তব্য করেন ধানের শীষের প্রার্থী।

তবে শুরু থেকে যে কথাটি বলে আসছিলেন ইশরাক এবং তার দলের নেতারা, শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকার সেই ইচ্ছা আবারও ব্যক্ত করেন তিনি।

ইশরাক বলেন, “একটি রাজনৈতিক দলের বড় শক্তি জনগণ ও জনসমর্থন। আমি মনে করি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সেটি আগের চেয়ে যেকোনো তুলনায় বেশি। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মাঠে থাকব। জনগণকে বলব, আপনারা ভোট দেবেন, পরবর্তীতে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, তা নির্ভর করছে সরকার ও রাষ্ট্রযন্ত্রের উপর।”

শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ভোট বর্জন করলেও মাঠ ছেড়ে ‘কখনো যায়নি’ বিএনপি।

“২০১৫ সালে ভোটের আগমুহূর্তে এবং ভোটের দিনের কথা বিবেচনা করে দল ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। তাই আমরা মাঠে ছিলাম, মাঠ ছেড়ে চলে আসিনি, এখনো আছি। এই নির্বাচনেও আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মাঠে থাকব এবং ভোটের দিনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলা যাবে যে, সে দিনকার সিদ্ধান্ত কী হবে। আমি একটা কথা বলতে চাই, ভোটের মাঠ থেকে শত বাধাবিপত্তি স্বত্ত্বেও আমরা ফিরে আসব না।”

রাজধানীর কমলাপুরে শনিবার নির্বাচনী প্রচারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।

ইশরাকের দৃষ্টিতে নগরীর সমস্যা

ঢাকা মহানগরের মৌলিক সমস্যা হিসাবে বায়ু দূষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা, যানজট ও এইডিস মশার বিস্তারকে চিহ্নিত করেন এই মেয়র প্রার্থী।

তিনি বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে অবসবাসযোগ্য নগরীর তালিকায় এক নম্বরে আছি। বিশ্বের বায়ুদূষণের তালিকায় সবচেয়ে দূষিত শহর আমরা এক নম্বরে আছি। অনিরাপদ শহরের মধ্যে এক নম্বরে আছি। নারী ও শিশুদের জন্য বসবাসের অযোগ্যের মধ্যেও আমরা এক থেকে পাঁচের মধ্যে আছি।

”এরকম নগরী আমাদের কাম্য নয়। অবসবাসযোগ্য নগরীর তালিকায় আমরা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর পাশাপাশি কেন থাকব?”

দূষিত নগরীর সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, “বায়ু দূষণের কয়েকটি কারণ আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। এর মধ্যে আমরা জানতে পেরেছি, ৫৮ ভাগ দূষণ হয় ইটভাটার কারণে। সেগুলো খুব জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করা দরকার। নাগরিকদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে মেয়রের যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেই পদক্ষেপগুলো আমি গ্রহণ করব।”

জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে তিনি বলেন, “জলাবদ্ধতা পুরান ঢাকার অনেক বড় সমস্যা। এর বাইরে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলো রয়েছে, সেখানে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ সমস্যা। হালকা বৃষ্টিপাতেও দেখা যায় সেখানে বসবাস করা দুর্বিষহ হয়ে উঠে।”

ইশরাক বলেন, “বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি বড় বিষয় হয়ে থাকবে আমি যে পদক্ষেপ নেব সেটার মধ্যে। খোলা অবস্থায় নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে কাঁচা ময়লা পড়ে থাকছে, এতে একদিকে যেমন পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে, অন্যদিকে বসবাস করা দুরূহ হয়ে উঠছে।”

যানজটের কারণে প্রতি বছর ৩৩-৩৭ হাজার কোটি টাকা লোকসান এবং লাখ লাখ কর্মঘন্টা নষ্টের প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, “এতে মানবিক বিপর্যয়ও ঘটছে, যখন আমরা দীর্ঘ সময় যানজটে অপেক্ষা করি। যানজট যে ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে, সেটার সমাধান একদিনে সম্ভব নয়। সেটা যদি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়, তাহলে সম্মিলিতভাবে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নিতে হবে।”

যানজট নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি এককভাবে নগর কর্তৃপক্ষের অধীনে না থাকার এক প্রশ্নে তিনি ইশরাক বলেন, ”ট্রাফিকের জন্য আমাদের যে ধরনের পরিকল্পনা থাকা দরকার, যেসব অধিপ্তর ও মন্ত্রণালয় সেই পরিকল্পনার সঙ্গে ‍যুক্ত রয়েছে, তাদেরকে সমন্বয় করার যে ভূমিকা পালন করা দরকার, একজন মেয়র হিসেবে, সেটি আমি করব।

”কর্মপরিধি যতটুকু থাকুক, নগরবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী এর সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোকে নিয়ে একসাথে বসে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করব।”

মশা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ

গত বছর ঢাকায় এইডিস মশার ব্যাপক বিস্তার ঠেকাতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালনে অবহেলা ছিল বলে মনে করছেন ইশরাক হোসেন।

”যদি সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে সঠিক ওষুধ ব্যবহার করা হত এবং সমস্যাটাকে প্রথমেই একসেপ্ট করা হত… প্রথমে মেনে নেওয়া হয়নি এবং পরবর্তীতে বলা হয়েছে এটি কোনো সমস্যাই নয়। যদিও এর মধ্যে অনেক প্রাণহানি ঘটে গেছে।”

নির্বাচিত হলে প্রজনন পর্যায়ে মশা নিয়ন্ত্রণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, “বছরব্যাপী জনসচেতনতা কার্যক্রম চালানো অত্যন্ত জরুরি। এর মাধ্যমে বাসাবাড়ির যেখানে এইডিস মশার প্রজননের সুযোগ রয়েছে, সেগুলো যেন সরানো যায়।

এখানে পাবলিক পার্টিসিপেশনের পাশাপাশি দায়িত্ব অবহেলা না করার বিষয়টি রয়েছে। এই দুয়ের সমন্বয় ঘটাতে পারলে আমরা এইডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।”

ইশরাক হোসেন

পরিকল্পনায় আছে পুরান ঢাকাও

ওয়ার্ডভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ইশরাক হোসেনের।

তিনি বলেন, “আমরা ওয়ার্ডওয়ারি যে সমস্যাগুলো রয়েছে, এক হল জলাবদ্ধতা, আরেক হল যানজট সমস্যা। আপনারা জানেন, পুরান ঢাকার রাস্তাগুলো সরু। এর বাইরে সেখানে বহু অবসবাসযোগ্য স্থাপনা রয়েছে, যেটি ঝুঁকিপূর্ণ।

”আমরা আগে দেখেছি, অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, একাধিকবার। ভবনে ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সে সকল জায়গাগুলি আমরা ওয়ার্ডওয়ারি চিহ্নিত করে আমরা সেগুলোকে বসবাসযোগ্য করতে চাই বা অপসারণ করতে চাই, যাতে ভবিষ্যতে কোনো প্রাণহানি না ঘটে।”

পুরান ঢাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করে বাসযোগ্য পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, “মোটা দাগে একে একটা বাসযোগ্য অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে চাই। আমি পুরান ঢাকার সন্তান, সেখানকার অলিগলিতে চলাফেরার অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। অনেক জায়গায় উপস্থিত থেকে আমি সমস্যাগুলো দেখে এসেছি।

”আমি মনে করি, আমি সবচেয়ে যোগ্য এই সমস্যাগুলো সমাধান করে বাসযোগ্য ঢাকা নগরী গড়ে তোলার জন্য।”

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন বুধবার দুপুরে মতিঝিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন।

’রাজনীতির বাইরে কখনও ছিলাম না’

সক্রিয়ভাবে দলীয় রাজনীতিতে না থাকলেও কখনও রাজনীতির বাইরে ছিলেন না বলে মন্তব্য করেন খোকার ৩৩ বছর বয়সী ছেলে ইশরাক।

“মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে, রাজনৈতিক পরিববারের সদস্য হিসেবে নগরবাসী, এলাকাবাসী ও দেশবাসীর প্রতি একটি দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতার কারণে ছোটবেলা থেকেই আমি রাজনীতিতে আসার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ ছিলাম এবং সবসময় রাজনৈতিকভাবে সচেতন ছিলাম, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সবসময় খোঁজখবর রেখেছি, বিশ্লেষণ করেছি।

”বাবার সাথেও বাংলাদেশের ইতিহাস, নগরীর ভবিষ্যৎ নিয়ে সবসময় আলাপ-আলোচনা করেছি। সকল বিষয়ে আমি রাজনীতিতে সবসময় ছিলাম। সক্রিয়ভাবে দলীয় রাজনীতিতে না থাকলেও রাজনীতির বাইরে আমি কখনও ছিলাম না।”

বাবার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশরাক বলেন, “আমার বাবা যে পর্যন্ত উনার কাজগুলো করেছেন, উনার অসমাপ্ত রেখে গিয়েছেন, সেখান থেকে আমি অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে পারব।

”পরবর্তীতে নগরবাসীকে আরও উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য, জীবনযাত্রার মান আরও উন্নয়ন ঘটানোর জন্য আরও যা যা করা দরকার, সেগুলো আমি করতে পারব।”

এই পরিকল্পনার বিষয়ে ইশরাক বলেন, “বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো আমাদের তথ্য সেলের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছি।

সবগুলো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটা সমন্বয় ঘটিয়ে একটি উন্নত বাসযোগ্য ও উন্নত শহর গড়ে তোলার যে স্বপ্ন ছিল, আমি সেই স্বপ্নের কথাই বলেছি।”

আরও খবর -