খালেদার সাজা স্থগিত করে বিদেশ পাঠানোর আহ্বান

দণ্ড স্থগিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ আহ্বান জানান ফোরামের আহ্বায়ক খোন্দকার মাহবুব হোসেন।

দলটির ভাইস চেয়ারম্যান পদে থাকা এ আইনজীবী বলেন,  “তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া  রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এখন দুটি মিথ্যা মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে আছেন।

“তিনি একজন বয়স্ক, অসুস্থ মহিলা। প্রচলিত আইনে তার জামিন প্রাপ্য। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলায় তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।”

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন,  “পিজি হাসপাতাল হতে মেডিকেল বোর্ড তার স্বাস্থ্য সম্বন্ধে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে তার বর্তমান অবস্থায় অ্যাডভানসড (উন্নত) চিকিৎসা দরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নাই।”

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী সরকার চাইলে যে কারো সাজা শর্তহীনভাবে স্থগিত করতে পারে এমন মন্তব্যও করেন এ আইনজীবী। 

সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,  “আমরা আশা করি সরকার প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে আইনগতভাবেই চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে পারেন। এজন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা।

“তাই আমরা সরকারের কাছে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তার ইচ্ছামত দেশে কিংবা বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচিও ঘোষণা করে হয় আইনজীবী ফোরামের এই অনুষ্ঠানে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব মো. ফজলুর রহমান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা।

চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া বিদেশ যাবেন বলে এর আগে তার জামিনের দাবি করেছিলেন বিএনপির নেতারা। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা বিদেশে পাঠানোর মতো খারাপ নয় বলে গত নভেম্বরে সাফ জানিয়ে দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার।

এরমধ্যে গত ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ আদালতেও নাকচ হয় জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন।

তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের সম্মতি থাকলে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে দ্রুত ‘অ্যাডভানসড ট্রিটমেন্ট’ দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে বলে আপিল বিভাগ।