বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নির্বাচন কমিশনে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার বনানীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী কার্যালয়ে এসে তিনি বলেন, “বিএনপির ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ অন্য শীর্ষ নেতারা মেয়র প্রার্থীদের প্রচারণায় অংশ নিতে পারলেও আওয়ামী লীগের এমপিরা পারবেন না, এটা হতে পারে না।
“মওদুদ এমপি নন, তিনি মিটিং করতে পারবেন, বক্তৃতা দিতে পারবেন তাতে কোনো বাধা নেই। আর আমরা এমপি, আমরা মিটিং করতে পারব না সেটা তো হয় না। তারা বলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, এটা কোন ধরনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হল?”
সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল বলেন, “তারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে, সাবেক মন্ত্রী-এমপি। তারা যেতে পারবে, আমরা যেতে পারব না এটা তো হতে পারে না। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামীকাল আমরা নির্বাচন কমিশনে যাব।”
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন কোনোভাবেই বির্তকিত হতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এই নেতা।
“আমরা এই নির্বাচনটাকে সাংঘাতিক গুরুত্বসহকারে নিয়েছি। আমরা এ নির্বাচনকে কোনোভাবেই বিতর্কিত করব না, কোনোভাবেই না। ঢাকা শহরের মানুষ দেখবে একটা অবাধ নির্বাচন ঢাকা শহরে হয়েছে। আমরা সমস্ত শক্তি দিয়ে বিজয়ী হওয়ার চেষ্টা করব।”
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তোফায়েল বলেন, “একটা দল নির্বাচনে নেমেছে হতাশা নিয়ে। আপনারা যদি তাদের মুখের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন তারা হতাশ। তারা বলে ‘আমরা জানি এই নির্বাচনে জিততে দেবে না, সুষ্ঠু হবে না, তবুও আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি’। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তারা ইতিমধ্যেই পরাজয় বরণ করে নিয়েছে। তারা একের পর এক অহেতুক অভিযোগ করেন। তাদের দলের নাম বাংলাদেশ নেগেটিভ পার্টি হওয়া উচিত।
অহেতুক মিথ্যা প্রচার করে নির্বাচনকে কলঙ্কিত না করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নির্বাচনের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বানও জানান তোফায়েল আহমেদ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, মির্জা আজম, আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন পরিচালনায় বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদকে দায়িত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমু ঢাকা দক্ষিণ ও তোফায়েল ঢাকা উত্তরের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন।