উত্তরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।
দক্ষিণে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযাগ তুলেছেন দলটির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
শনিবার দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে ভোটে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির দাবি জানান তারা। রিটার্নিং কর্মকর্তারা অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচার শুরু হবে ৯ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর।
আতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাবিথের
শনিবার বিকালে ইটিআই ভবনে উত্তরের নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেমের কাছে তাবিথ আউয়ালের লিখিত অভিযোগ জমা দেন তার প্রতিনিধি জুলহাস উদ্দিন।
অভিযোগনামায় তাবিথ বলেন, শনিবার ৮ থেকে ৯টার মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী নির্বাচনী এলাকার গুলশান পার্কে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে একটি নির্বাচনী মঞ্চ করে, মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে ভোট চেয়ে বক্তব্য দেন, যা আচরণবিধির লঙ্ঘন।
অভিযোগের পক্ষে কিছু আলোকচিত্রও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দেন তিনি।
সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির আহ্বান জানিয়ে বিএনপির প্রার্থী বলেন, তা নাহলে ইসি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না।
এ বিষয় রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম সাংবাদিকদের বলেন, “অভিযোগটি পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাহী হাকিমের কাছে এ অভিযোগটি পাঠাবো। খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
হয়রানির অভিযোগ ইশরাকের
ভোটের আগে কাউন্সিলর প্রার্থীদের হুমকি, গ্রেপ্তার এবং হয়রানির বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে ‘গায়েবি মামলায়’ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে চিন্তিত বলে জানিয়েছেন দক্ষিণের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন।
শনিবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।
ইশরাক বলেন, বিএনপি সমর্থিত ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী তাজউদ্দিন আহমেদ তাজুর প্রার্থিতা বৈধ প্রার্থী হওয়ার পর সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করে।
“অথচ কিছু দিন আগে তিনি জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়েছেন। প্রশ্ন হল- তাকে তখন গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি কেন?”
৪৪ নং ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সাহেদ মন্টুকে একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ইশরাক।
তিনি বলেন, বিএনপি কাউন্সিলর প্রার্থীদেরকে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টিকরে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত করার পাঁয়তারা চলছে।
অভিযোগ পেয়ে দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, “অভিযোগ আমরা গ্রহণ করলাম এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।”
তিনি বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্টদের বলব, অতি উৎসাহী হয়ে কোনো কাজ করা যাবে না। পুরনো মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার না করতে আমাদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। নির্বাচন যাতে কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেই বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি।”