আগের মতই সোমবার তিনি বলেছেন, ‘গ্রহণযোগ্য, জনপ্রিয় ও জেতার মত’ প্রার্থী দেখেই মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
“এখানে আগের মেয়র খারাপ কি ভালো, সে মন্তব্যে আমি যাব না। আমরা আমাদের সামনের দিকে তাকাচ্ছি। এ নির্বাচনে জন্য আমরা গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থী বেছে নিয়েছি।”
আর এক্ষেত্রে বিভিন্ন জরিপ প্রতিবেদন ও পার্টির সিটি কমিটির পরামর্শও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান দলের সাধারণ সম্পাদক।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সামনে রেখে রোববার আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। উত্তরে বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম আবার মনোনয়ন পেলেও দক্ষিণে সাঈদ খোকনকে বদলে মনোনয়ন দেওয়া হয় ঢাকা-১০ আসনের এমপি শেখ ফজলে নূর তাপসকে।
অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে খোকন এ বছর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতার কারণে সমালোচনায় ছিলেন।
তার জায়গায় মনোনয়ন পাওয়া ব্যারিস্টার তাপস বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির ছোট ছেলে। তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদেরও নেতৃত্বে আছেন।
গত ২৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম তুলতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে খোকন বলেছিলেন, রাজনৈতিক জীবনে তিনি ‘কঠিন সময়’ পার করছেন। তবে ভাগ্য চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর রোববার তিনি শুধু বলেন, “নো কমেন্টস।”
সোমবার বনানীর সেতু ভবনে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নোয়াকির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সিটি নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
এ নির্বাচনে হার-জিত নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয় দাবি করে তিনি বলেন, “নির্বাচনটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, প্রতিযোগিতামূলক হোক, একটা ফ্রি-ফেয়ার ইলেকশন হোক, একটা ক্রেডিবল ও একসেপ্টেবল ইলেকশন হোক, জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে, এ ধরনের একটা নির্বাচন আমরা চাই। এখানে হারি জিতি নাহি লাজ- বলে একটা কথা আছে।"
সিটি নির্বাচনে জয় দলের জন্য চ্যালেঞ্জ কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, “চ্যালেঞ্জ প্রত্যেকটা বিষয়ই আছে। কিন্তু আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন, ইলেকশন ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল হবে। আমরা মনে করি না, যে আকাশটা আমাদের ওপর ভেঙে পড়বে যদি নির্বাচনে আমাদের কোনো বিপর্যয় ঘটে।"