সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে বিক্ষোভের ডাক বিএনপির

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিনে সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে মঙ্গলবার ঢাকার থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Dec 2019, 08:32 AM
Updated : 30 Dec 2019, 08:59 AM

সোমবার সকালে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, “আজকে বিএনপির ঢাকা মহানগরীতে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে। কিন্তু সরকার দিনটিকে এমনভাবে ভয় পেয়েছে যে, গণতন্ত্র হত্যা দিবসে বিরোধী দলকে কোনো কর্মসূচি তারা করতে দিচ্ছেন না।

“আমাদের পূর্বঘোষিত সমাবেশ বানচাল করতে পোশাক ও সাদা পোশাকে পুলিশ সকাল থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশের সড়ক এবং অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধংদেহী পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে গোটা নয়া পল্টন সড়ক এলাকায়।”

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ নির্বাচনে ২৫৮ আসনে অভাবনীয় জয় পায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে মাত্র ছয়টি আসনে জয় পেয়ে ভরাডুবি হয় বিএনপির।

ওই নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে বিএনপি ওই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে। শুরুতে শপথ না নেওয়ার অবস্থানে অনড় থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া নির্বাচিত বাকিরা সংসদে যান। 

কিন্তু সেই নির্বাচনের বর্ষপূর্তিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি সমাবেশ ডেকেছিল। কিন্তু তাতে পুলিশের অনুমতি মেলেনি।

এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনকেও ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করেছে ওই ভোটবর্জনকারী দলটি।

রিজভী বলেন, “সারা দেশ যেন আওয়ামী লীগের তালুকদারিতে পরিণত হয়েছে। যখন তখন যে কোনো সময়ে আওয়ামী লীগ যে কোনো স্থানে সভা-সমাবেশ করতে পারে। অথচ বিরোধী দল ও ভিন্ন মতের মানুষদের সেই অধিকার নেই।

“এদেশে শুধুমাত্র একজনেরই গণতান্ত্রিক অধিকার আছে- তিনি হলেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক গণতন্ত্র চলছে। একমাত্র শেখ হাসিনার কণ্ঠস্বরের স্বাধীনতাই রয়েছে চরম পর্যায়ে। আর শেখ হাসিনার এই দুঃশাসনে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী ও ভিন্নমতের মানুষরা সাব-হিউম্যান পর্যায়ে।”

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘অন্যায়ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিহিংসায় বন্দি করে রাখা হয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল থেকে কার্যালয়ের সামনে ব্যাপকসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রায় নেতা-কর্মী শূন্য। 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-সংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।