এরশাদকে ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি’ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের বলেন, “রাজনীতিতে তিনি ছিলেন পারফেক্ট জেন্টলম্যান।তিনি থাকলে পরিবেশ ভিন্নমাত্রা পেত।”
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয় পার্টির নবম কেন্দ্রীয় সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, “আমি আশা করি, ভবিষ্যতেও জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ থাকবে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যে আদর্শ, উদ্দেশ্য নিয়ে এ পার্টি গড়ে তুলেছেন, তার অবর্তমানেও আপনারা পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ রাখবেন- এটা আমার আহ্বান।
“আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে, বিরোধী দল হিসেবে শক্তিশালী থাকলে আমরাও শক্তিশালী হব।”
১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টির সঙ্গে মিত্রতা গড়ে ওঠে আওয়ামী লীগের। সেবার সরকার গঠনে জাতীয় পার্টির সমর্থন পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “সেদিন সরকার গঠনে জাতীয় পার্টির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সেদিন আসন কম ছিল। জেলে বসেও সাবেক রাষ্ট্রপতি, এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আমাদের সমর্থন দিয়েছিলেন। আমরা সরকার গঠন করতে পেরেছিলাম।”
এরপর ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে নির্বাচনে আসে জাতীয় পার্টি। সেবারও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারে তারাও ক্ষমতার অংশীদারিত্ব নেয়। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করা হয়। এছাড়াও এক জনকে মন্ত্রী ও বাকি দুজনকে প্রতিমন্ত্রী করা হয় আওয়ামী লীগের গত শাসনামলে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাতীয় পার্টি। এবার চারটি সংরক্ষিত আসনসহ মোট ২৬টি আসন নিয়ে জাতীয় পার্টি সংসদে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় রয়েছে।
বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির ভূমিকা মূল্যায়ন করতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে আসার পর সংসদে কার্যক্রম নতুন মাত্রায় আসে। পার্লামেন্টে ভেতরে বাইরে কখনও ভায়োলেন্সের রাজনীতি করেনি। সংসদে দায়িত্বশীল, গঠনমূলক বিরোধী দলের ভূমিকায় জাতীয় পার্টি অবতীর্ণ হয়েছে।
“সরকারি দল একা শক্তিশালী হলে সরকার শক্তিশালী হবে না। গণতন্ত্রকে অর্থবহ করতে হলে, শক্তিশালী করতে হলে শক্তিশালী বিরোধী দলও হতে হবে। জাপা এই ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করে আসছে।”