মঙ্গলবার ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাবেক একদল সেনা সদস্যদের দলে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন বলে দলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জি এম কাদের বলেন, “ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জয়ের জন্যই লড়াই ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। হারার জন্য কেউই নির্বাচন করে না।”
ইতোমধ্যে আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন রেখে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
আসন্ন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদের মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হওয়ার দিনে জি এম কাদের বলেন, “জাতীয় পার্টি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে মেয়র এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদেও মনোনয়ন দেবে।”
তিনি বলেন, “আমরা চাই নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ হবে। আশা করছি, নির্বাচন সুন্দর হবে।”
চলতি বছর মার্চে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উপ নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টি নানা সমালোচনার পরেও মনোনয়ন দিয়েছিল শাফিন আহমেদকে। তবে বিপুল ভোটে হেরে যান শাফিন।
সেবার ১ হাজার ২৯৫টি ভোট কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৩০২ ভোট পেয়েছিলেন ডিএনসিসির বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাফিন আহমেদ পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ৪২৯ ভোট।
এদিন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে শতাধিক সেনা সদস্য জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
তখন জি এম কাদের বলেন, “জাতীয় পার্টি একটি সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক শক্তি, প্রতিদিনই এই দলে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃবৃন্দ যোগ দিচ্ছেন। জাতীয় পার্টি ক্ষয়িষ্ণু নয়, জাতীয় পার্টি এখন বর্ধিষ্ণু রাজনৈতিক দল।”
দলে নবাগতদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “কিছু পাওয়ার জন্য আমরা রাজনীতি করি না। জাতীয় পার্টি সব সময় দেওয়ার জন্য রাজনীতি করে। আর কিছু দিতে পারলে অবশ্যই সম্মান পাওয়া যায়।
“জাতীয় পার্টির সময় এখন সামনে এগিয়ে চলা, জাতীয় পার্টির সময় এখন শুধুই জয়ের পথে এগিয়ে চলা।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সাহিদুর রহমান টেপা, ফখরুল ইমাম।