আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দাওয়াত পাচ্ছেন ‘সংলাপের’ নেতারা

একাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে যেসব দল ও জোটের নেতারা গণভবনে সংলাপে অংশ নিয়েছিলেন তাদের সবাইকে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2019, 02:49 PM
Updated : 15 Dec 2019, 02:49 PM

রোববার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ কমিটির বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

সম্মেলনে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “চৌদ্দ দল, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট ও বাম ফ্রন্টের নেতারাসহ প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে যে সেকল দল গণভবনে গিয়েছিল সবাইকে আমরা দাওয়াত দেব, আমন্ত্রণ জানাব।”

গত বছর জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য ইসির প্রস্তুতির মধ্যেই সাত দফা দাবিতে সংলাপের আহ্বান জানানো হয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে। অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে গণভবনে আলোচনায় বসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর একে একে বিভিন্ন দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ করেন সরকারপ্রধান।

বিএনপিসহ বিরোধী জোটের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা থাকলেও এবার আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে কোনো বিদেশি অতিথি থাকছেন না বলে জানান কাদের।

তিনি বলেন, “এবার আমরা বাইরে থেকে কাউকে আমন্ত্রণ করছি না। কারণ আমাদের ফোকাস হচ্ছে মুজিববর্ষ। সেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালায় বিদেশিদের আমন্ত্রণ করব। মূল্যবান বক্তব্য দিতে অনুরোধ করব।”

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হয় তিন বছর পর পর। আগামৗ ২০ ও ২১ ডিসেম্বর তাদের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধন হবে।

ভারতের সংসদে পাস হওয়া নাগরিকত্ব বিল নিয়ে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন,  ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সরকার গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

“ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। একটি সার্বভৌম দেশ, একটি স্বাধীন দেশ। ভারতের পার্লামেন্টে যে আইন পাস হয়েছে এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, সে ব্যাপারে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্য করেছে।

“পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য ভারতের হাই কমিশনারের মাধ্যমে ভারত সরকারকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখছে। এটা আমার বলার বিষয় নয়।”

ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার কোনো ধরনের টানাপড়েন সৃষ্টি করতে চায় না জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, “আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ইতিবাচক, ভালো সম্পর্ক আছে। এই সম্পর্কের কোনো টানাপড়েন সৃষ্টি হোক, এটা আমরা চাই না।

“যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে আমরা পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব। ভারতের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলাপের সুযোগ আছে। কাজেই আমরা দ্বিপক্ষীয় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি।”