তার ছেলে রাশেদ কবীর অনীক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার বিকালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মারা যান তার বাবা। তার বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর।
“গত বুধবার বাবাকে অসুস্থ অবস্থায় মাগুরা হাসপাতাল থেকে ধানমণ্ডির ল্যাবএইডে নিয়ে আসা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আজ বেলা ২টার দিকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৩টা ৩৫ মিনিটে তিনি চলে গেলেন।”
রাত ৮টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কবির মুরাদের জানাজা হয়। সেখানে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীরা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিবউন নবী খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসহ নেতা-কর্মীরা প্রয়াত এ নেতার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
রোববার দুপুরে মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে আরেক দফা জানাজা শেষে সদর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাড়নান্দুয়ালী কবরাস্থানে দাফন করা হবে এই বিএনপি নেতাকে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে লেখাপড়া করা কবীর মুরাদের রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল ছাত্র ইউনিয়ন দিয়ে। শিক্ষাজীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগ দেন। তিনি ছিলেন মাগুরা জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার আগে কবির মুরাদ বিভিন্ন সময়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এই রাজনীতিবিদ ছিলেন মাগুরা বিএড কলেজ, মাগুরা ল কলেজ এবং ওয়াজেদ আহমেদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া দুঃস্থদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে নিজের নামে একটি ট্রাস্টও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
মৃত্যুকালে স্ত্রী বেগম মমতাজ কবির, দুই মেয়ে রিফাত কবীর মিতা, ইফাত কবীর তমা এবং এক ছেলে রাশেদ কবীর অনিককে রেখে গেছেন কবীর মুরাদ।
তার মৃত্যুতে পৃথক পৃথক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব্ রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।