মহাজোট নেত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতি ‘সদয়’ হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য।
বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন বাবলু।
এ সময় তার সাথে আসা শতাধিক নেতাকর্মী নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে জ্যেষ্ঠ নেতারা গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এরপর জিয়াউদ্দিন বাবলু সাংবাদিকদের বলেন, “ভেতরে কিন্তু আমরা পাঁচজনই ঢুকেছি। আপনারা জানেন কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ উদ্দীপনা অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তারপরও ভিতরে কাউকে ঢুকতে দিইনি। নির্বাচনী আচরণ বিধি আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করব।”
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সর্বসম্মতিক্রমে আমাকে লাঙল প্রতীক দিয়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ মনোনয়ন দান করেছেন নির্বাচন করার জন্য।
“এ নির্বাচনে আমাদের প্রধান বক্তব্য এই এলাকার জনগণের প্রধান দাবি কালুরঘাট ব্রিজ পুনর্নির্মাণ। অনেকবার সংস্কার করা হয়েছে। এটা এখন আর কাজ করছে না। এজন্য গত সংসদে মঈন উদ্দিন খান বাদল এবং আমিও কথা বলেছি।”
বাবলু বলেন, “আমরা যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলাম তড়িৎ কর্ণফুলী নদীতে প্রথম শাহ আমানত ব্রিজ করেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে অনেক মেগা প্রকল্প করছেন। আশা করছি, বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য উদ্যোগ নেবেন। তার সেই উদ্যোগকে আমরা সমর্থন করব।
বাবলু বলেন, “আমাদের দলের পক্ষে জি এম কাদের গতকাল আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সে আলোচনায় মহাজোট নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাকে আমরা স্বাগত জানাব। আশা করি তিনি সদয় হবেন।”
জোট থেকে মনোনয়ন না পেলে কী করবেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “দেওয়া না হলে আমি তো ব্যক্তি না, পার্টির কেন্দ্রের বাইরে কথা বলতে পারব না। নিজে থেকে তো দাঁড়াইনি। পার্টি ও মহাজোট নেত্রীর যে সিদ্ধান্ত হয় সে অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”
নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আশা জানিয়ে বাবলু বলেন, “রংপুরের উপ-নির্বাচন ফ্রি ও ফেয়ার হয়েছে। আশাকরি এখানেও হবে। চাইব প্রতিটি মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন এই নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রত্যাশা করি।”
আওয়ামী লীগ প্রার্থী তাকে ‘বহিরাগত’ আখ্যায়িত করার বিষয়ে জানতে চাইলে বাবলু বলেন, “চান্দগাঁও-বোয়ালখালী-পাঁচলাইশ নিয়ে এ আসন গঠিত। এতদিন যিনি ছিলেন তিনি বোয়ালখালীর। এর আগে বিএনপির যিনি ছিলেন তিনি চান্দগাঁও থেকে ছিলেন। উনি তো চান্দগাঁওর না তাহলে কি বহিরাগত বলব? নিশ্চয় না।
“আমার বাড়ি চান্দগাঁওতে। আমার বাবা-মার কবর সেখানে, নানার কবর। ছোটবেলায় আমি মানুষ হয়েছি চান্দগাঁওতে।”
এর আগে চট্টগ্রাম-৯ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হন বাবলু।
আগামী ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ফেরার পথে হুড খোলা গাড়িতে করে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের সড়ক দিয়ে যান বাবলু। এ সময় তার অনুসারী নেতাকর্মীদের কয়েকজনকে স্লোগান দিতে দেখা যায়।