বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এই লোকটি (এ বি সিদ্দিকী) কে? অসুস্থ মনে হয়। প্রায় চার-পাঁচ দিন পর পর একটা করে মামলা করে। এই সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে এই ধরনের একজন বিকারগ্রস্ত লোক প্রায়ই বিএনপির নেতৃবৃন্দের নামে এই ধরনের উদ্ভট, বানোয়াট, আজগুবি মামলা একের পর এক করে যাচ্ছে।
“এ বি সিদ্দিকী একজন দেউলিয়া ও ছন্নছাড়া ব্যক্তি বলেই সরকার তাকে নির্দেশ দিয়ে এই ধরনের মামলা দায়ের করায় বলে আমরা মনে করি। আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এ ধরনের মনগড়া মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি।”
প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকির অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার একটি মামলা দায়ের করেছেন তিনি। মহানগর হাকিম মাসুদ উর রহমান তার জবানবন্দি শুনে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে দারুস সালাম থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এই মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, দলটির মহানগর উত্তর কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল সোহেল, জামায়াতে ইসলামীর রোকন ও শাহ আলী বাগদাদী কামিল মাদ্রাসার সাময়িক বরখাস্ত উপাধ্যক্ষ আফজাল হোসেন, মাদ্রাসার অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও আবদুল করিম, হাফেজ মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, আমিনুল হক বাবু ও ফারুক আহমদ।
মামলার পরদিন এ বি সিদ্দিকীর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, “মামলাবাজ টাউটদের মতো এ বি সিদ্দিকী দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাংবাদিক, লেখকসহ মুক্তমনের মানুষদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করার উদ্দেশ্য হল- সরকারের নেক নজরে থেকে আখের গুছিয়ে নেওয়া।
“ মধ্যরাতের সরকারের আমলেই এই সমাজে এ বি সিদ্দিকীর মতো অসংখ্য মামলাবাজ গ্রাম্য দালাল-ফড়িয়াদের জন্ম হয়েছে। গণবিচ্ছিন্ন গণশত্রুদের দুঃশাসনের বাইপ্রোডাক্ট হচ্ছে এ বি সিদ্দিকীরা।”
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, “আমরা তাদের দাবি-দাওয়ার আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছি। সরকারকে বলব, অবিলম্বে তাদের বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দিন।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, কেন্দ্রীয় নেতা মুনির হোসেন, সেলিমুজ্জামান সেলিম, রবিউল ইসলাম রবি, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেন, মুস্তাফিজুল করীম মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।