সিটি ভোট সামনে রেখেই ঢাকায় নতুন নেতৃত্ব: কাদের

সিটি নির্বাচন সামনে রেখে সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগে নতুন নেতৃত্ব আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2019, 11:00 AM
Updated : 4 Dec 2019, 11:00 AM

সচিবালয়ে বুধবার ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশকে সাক্ষাৎ দেওয়ার পর তিনি একথা বলেন।

গুঞ্জন উঠেছিল সিটি নির্বাচনের আগে ঢাকার দুই কমিটির কাউন্সিল হচ্ছে না। এখন গুঞ্জন উঠেছে সরকার সিটি নির্বাচন চায় না।

এক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সিটি নির্বাচন হবে এটা জেনেই সম্মেলনটা আমরা করে ফেলেছি। সিটির সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও নির্বাচনে বিজয়ের উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা সম্মেলন করেছি।”

“দুই সিটিতে আমরা ক্লিন ইমেজের নেতা উপহার দিয়েছি। নির্বাচন সামনে তাই আমরা মনে করেছি এখানে কনফারেন্স করে নিউ লিডারশিপ আনা দরকার।”

দুই সিটিতে প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখ দেখার সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা ভাবনা-চিন্তা করছি। আমাদের মনোনয়ন বোর্ড বসবে যখনই শিডিউল ডিক্লেয়ার হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মনোনয়ন বোর্ডেই সিদ্ধান্ত নেব।

“এর মানে আমরা বলতে পারি আওয়ামী লীগ যথাসময়ে সিটি নির্বাচন চায়, নির্বাচন কমিশন যখনই চায় আমাদের কোনো আপত্তি নেই। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল সিটি নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের কোনো প্রস্তাব আছে কিনা। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি, তিনি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন- এটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। তারা যখনই চাইবে আমরা নির্বাচন করতে প্রস্তুত।”

আসন্ন সম্মেলনে আওয়ামী লীগে নতুন মুখ আসবে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলন মানে নতুন পুরাতন মিলিয়ে কমিটি।

সাধারণ সম্পাদক পদে তার নিজের থাকা না থাকা নিয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, “আমি বারবার এক কথাই বলেছি, এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। আমাদের সভাপতি যেটা ভাল মনে করবেন, কাউন্সিলরদের মাইন্ড সেট তিনি ভাল করেই জানেন। আমাদের কাউন্সিলররা সবসময় নেত্রীর উপর আস্থা রাখেন। তার সিদ্ধান্তে আমাদের দ্বিমত নেই। দলের স্বার্থে তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা তাকে স্বাগত জানাব।”

শুদ্ধি অভিযান চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে, সময় মত দেখবেন। শুদ্ধি অভিযান স্থিমিতও হয়নি, কোনো শৈথিল্যও হয়নি।”

ভারতের হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে মূলত দেশটির সঙ্গে যে প্রকল্পগুলো রয়েছে সেগুলো গতিশীল করার জন্য অনুরোধ করেছেন বলে জানা তিনি।

পুশইন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।