আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পর শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন যে, আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে সমুচিৎ জবাব দেওয়া হবে। আমরা বলতে চাই, আন্দোলন করা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, আমাদের সাংবিধানিক অধিকার।
“আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার- এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, স্বৈরাচারের পতন ঘটানো, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং জনগণের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। এখানে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা সুস্পষ্ট ইস্যু নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চাই।
“আমরা ইতিপূর্বে অনেক প্রোগ্রাম করেছি, আমরা আন্দোলন করেছি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য নয়। সরকার যদি সেখানে কোনো রকমের প্ররোচনা বা স্যাবোটাজ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তার দায়-দায়িত্ব বর্তাবে সরকারের ওপর।”
আগামী ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে শুনানির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি গতকাল বলেছি বেগম খালেদা জিয়া ৫ তারিখে জামিন না পেলে বোঝা যাবে যে, আইনের মাধ্যমে তার জামিন হবে না। সেক্ষেত্রে আমাদের কোনো বিকল্প থাকবে না একটি কঠিন আন্দোলনে যাওয়ার ছাড়া।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর উদ্যোগে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ শামসুল আলম মিলনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
মিলনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন খন্দকার মোশাররফ বলেন, “ডা. মিলনকে হত্যা করে স্বৈরাচার এরশাদের পেটুয়া বাহিনী মনে করেছিল, সেই আন্দোলনকে স্তিমিত করে দিতে পারবে, স্তব্ধ করে দিতে পারবে।
“কিন্তু মিলন হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আন্দোলনের নতুন গতিপথ, ওই স্বৈরাচার পতনের একটা টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। তার আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে এরশাদ স্বৈরাচারের পতন ঘটেছিল।”
আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, মহাসচিব অধ্যাপক আবদুস সালাম, জহিরুল ইসলাম শাকিল, মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।