সালমা ইসলাম ঢাকা জেলা জাপার সভাপতি

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সালমা ইসলামকে ঢাকা জেলার সভাপতি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2019, 11:45 AM
Updated : 30 Nov 2019, 11:49 AM

শনিবার দুপুরে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

দলের নিয়ম অনুযায়ী আগামী দুই বছর সালমা ইসলাম এ দায়িত্বে থাকবেন। আগামী সাত থেকে দশদিনের মধ্যে সালমা ইসলাম ঢাকা জেলার কমিটি চূড়ান্ত করবেন।

সম্মেলনের প্রধান অতিথি জি এম কাদের বলেন, “দলকে সুসংগঠিত করতে হলে আমাদের শুধু নেতাকর্মীদের সংখ্যার দিকে তাকালেই হবে না। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দরকার ইউনিটি। আমরা জেলা কমিটি করে দেওয়ার পর দৃষ্টি রাখব। যিনি সভাপতি হলেন, তিনি প্রয়োজনমতো দল সাজাবেন। আমরা যদি মনে করি, কোনো ব্যক্তিবিশেষ দলকে শক্তিশালী করতে পারছেন না, তবে সেদিকে নজর রাখব।”

অনুষ্ঠানে এসেছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এস এম ফয়সল চিশতী।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর ঢাকায় দলের নবম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলে সভায় আসা নেতাদের সংশয় দূর করে দেন দলের দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।

বাবলা বলেন, “এ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির কী ম্যানিফেস্টো, কী উদ্দেশ্য তা বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।”

সালমা ইসলাম বলেন, “হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ইন্তেকালের পর অনেককেই জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে খানিকটা চিন্তিত দেখেছি। কিন্তু সময়ের ধারাবাহিকতায় সব সংশয় মিথ্যে হয়েছে। প্রধান নেতাদের মধ্যে সমঝোতাপূর্ণ মধুর সম্পর্কের কারণে কোনো সংশয় কিংবা সমস্যার কালো ছায়া জাতীয় পার্টিকে স্পর্শ করতে পারেনি।”

পরে তিনি এরশাদের লেখা ‘নতুন বাংলাদেশ গড়বো মোরা’ গানটি গেয়ে শোনান।

দল ভাঙ্গলে আত্মহত্যা করব : রাঙ্গাঁ  

সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, তার কারণে জাতীয় পার্টিতে কোনো ভাঙ্গন দেখা দিলে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করবেন।

“আজকে যারা এর ওর নামে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের কাছে এসে বিষেদাগার করেন, তাদের যদি সমর্থন দেওয়া হয় তাহলে দল টিকবে না। যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থেকে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে।”

শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের শীর্ষ নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন রাঙ্গাঁ। দলের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু ও কাজী ফিরোজ রশীদ জাতীয় সংসদে রাঙ্গাঁর কঠোর সমালোচনা করেছেন।

তাদের উদ্দেশ্য করে রাঙ্গাঁ বলেন, “আজকে কেউ যদি সরকারের দালালি করতে চান, করেন। আমি দালালি করতে পারব না। আজকে যখন বলা হয়, এরশাদের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, তখন আমি চুপ করে না থেকে...আমি থাকব না এ পদে, প্রয়োজনে রিজাইন করব।”