জি এম কাদেরকে ‘বাধা’ বলছেন বিদিশা, অপরপক্ষে মামলার হুমকি

জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অটিস্টিক সন্তান শাহতা জারাব এরিককে দেখভালের ক্ষেত্রে তার চাচা ও দলের বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে মূল বাধা বলছেন বিদিশা এরশাদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2019, 06:28 PM
Updated : 22 Nov 2019, 06:28 PM

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বারিধারায় এরশাদের বাড়ি প্রেসিডেন্ট পার্কে ছেলে এরিককে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিদিশা।

তার অবর্তমানে এরিকের ঠিকমতো দেখাশোনা না হওয়ার অভিযোগ করে বিদিশা বলেন, “মূল বাধা হচ্ছে ওর চাচা (জি এম কাদের)। পয়েন্টটা হল এরিকের সহায় সম্পত্তি। এরিক না, এরিকের প্রতি কারও কোনো ইন্টারেস্ট নাই।

“যদি এরিকের প্রতি ইন্টারেস্ট থাকত, তাহলে ওভাবেই দেখাশোনা করা হত। নেগলেক্ট করা হত না অ্যাটলিস্ট।”

তার এই অভিযোগের পর বিদিশা এরশাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছেন জিএম কাদের।

চলতি বছরের জুলাইতে মৃত্যুর আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার সমুদয় সম্পত্তি দান করে যান ট্রাস্টে। ছেলে এরিকের দেখভাল করার জন্য এ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে।

এই ট্রাস্টের সদস্য হিসেবে এরিক আর ভাতিজা খালেদ আখতারকে রাখলেও ভাই জি এম কাদেরকে রাখেননি এরশাদ।

গত ১৪ নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট পার্কে ছেলে এরিকের সঙ্গে অবস্থান নেওয়া বিদিশা অভিযোগ করছেন, এই বাসায় এরিকের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা এরিকের স্বাস্থ্যের প্রতি ‘অবহেলা’ করেছেন। এরশাদের ব্যক্তিগত গাড়িচালক এরিককে ‘মারধর’ করেছেন।

‘নিরাপত্তাহীনতায়’ ভুগতে থাকা এরিক এরশাদ তার মা বিদিশাকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট পার্কে থাকতে চান জানিয়ে গত ১৮ নভেম্বর গুলশান থানায় জিডি করেন।

সেদিন এক ভিডিওবার্তায় এরকিকে বলতে শোনা যায়, জি এম কাদের নন, মা বিদিশা এরশাদই তার আইনি অভিভাবক।

ফাইল ছবি

সংবাদ সম্মেলনে বিদিশা বলেন, “আজকে মাতৃত্বের লড়াইয়ের জন্য আমি একা না, আমার সন্তানই আজকে লড়াই করছে। সে চাচ্ছে মাকে নিয়ে যেন বাকি জীবনটা পার করে দিতে পারে।”

এরিককে নিয়ে কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি করলে ‘বসে থাকবেন না’ বলে হুমকি দেন বিদিশা।

তিনি বলেন, “নিজের জনপ্রিয়তা হারিয়ে জি এম কাদের ভাতিজাদের পেছনে লেগেছেন।”

পরে এ নিয়ে জি এম কাদের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এরিক একজন স্পেশাল চাইল্ড। আমি বিশ্বাস করি, সে নিজে থেকে এসব করছে না। তাকে দিয়ে এসব বলানো হচ্ছে। সে নিজেও এক সময় তার মাকে নিয়ে আমাকে বলত।

“মানহানির বিষয়টি নিয়ে আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলব। আমি এবার আইনি ব্যবস্থা নেব।”