সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে যুবদল ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠন দোয়া
এবং মিলাদের আয়োজন করে।
১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর তারেক রহমানের জন্ম। ২০০৭ সালে মার্চ মাসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় যৌথ বাহিনী তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে এবং কারাগারে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে জামিন নিয়ে তারেক চিকিৎসার জন্য পরিবার নিয়ে লন্ডন যান ওই বছরের সেপ্টেম্বরে। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি।
খালেদা জিয়া গতবছর দুর্নীতি মামলার বিচারের রায়ে কারাগারে যাওয়ার পর তারেক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন।
সকালে যুবদলের দোয়া মাহফিলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “তারেক রহমান জন্ম নিয়েছেন- এটা আমাদের জন্য আনন্দের। এই দিনটা একজন মানুষের জীবনে সকল সময়েই আসে, কেউ পালন করে সরবে, কেউ পালন করে নিরবে। আমাদের সরবে পালন করার কথা ছিল।
“আমার তো মনে হয়, সারা বাংলাদেশে অন্তত কয়েকশ কেক এই মুহূর্তে কাটার কথা ছিল। কিন্তু তারেক রহমান সাহেব এটা নিষেধ করেছেন। এই মুহূর্তে এই ধরনের অনুষ্ঠান চাচ্ছেন না। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন কারান্তরালে, হাসপাতালে অবস্থান করছেন। তার যে বর্তমান অবস্থা কেমন সেটা জানার অধিকার বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণের অধিকার নেই। এই সরকার এটাকে ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে।”
তিনি বলেন, “একদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি আর অন্যদিকে আমরা সারাদেশে মানুষ একটা খোলা জেলে বন্দি আছি। উপরের আকাশ খোলা, বাতাসও পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু আমরা বন্দি আছি।”
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “আমরা আছি একটি দ্বন্দ্বের মধ্যে- নেত্রীর মুক্তি প্যারোলে না জামিনে? কিন্তু নেত্রীর মুক্তি যে রাজপথে হয়- এই কথাটা কেন জানি আমরা বিবেচনায় নিচ্ছি না। কি কারণে জানি দোয়া মাহফিল, মানববন্ধন আর প্যারোল ও জামিনের তর্ক-বিতর্কের মধ্যে দিয়ে সীমাবদ্ধ রাখছি।
যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে বিএনপির দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
তারেক জন্মদিনে সকালে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল উত্তরের উদ্যোগে দুঃস্থ ছাত্রদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেন রুহুল কবির রিজভী।
এই সময়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, মোস্তাফিজুর রহমান, গোলাম সারোয়ার, ফখরুল ইসলাম রবিন, গাজী রেজওয়ান-উল হোসেন রিয়াজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে তারেকের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় মোনাজাতে অংশ নেয় নেতা-কর্মীরা।
বাদ জোহর নয়া পল্টনে ছাত্রদলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া শ্যামপুরের কদমতলীতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী। এ সময়ে দলের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সাংসদ সালাহউদ্দিন আহমেদ, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মহানগর নেতা তানভীর আহমেদ, জাফর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে এতিমখানার শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও দুঃস্থ নারীদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।