সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘পেঁয়াজের হিমালয় সমান মাত্রায় দাম বৃদ্ধি ও সরকারের ক্ষমার অযোগ্য উদাসীনতার’ প্রতিবাদে সিপিটির এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে পার্টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সমাবেশে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “সঙ্কট দ্রুত নিরসনের পরিবর্তে সরকার তামাশা করতে ছাড়েনি। ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পদত্যাগ করেননি। উপরন্তু প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। যা ছিল জনগণের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত।”
পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাকে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘দুঃশাসনের গণবিরোধী চরিত্রের আরেকটি নিদর্শন’ হিসেবে বর্ণনা করেন সেলিম।
সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যবসায়ীদের ‘সিন্ডিকেটের’ কারণে কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে অভিযোগ করে সিপিবি সভাপতি বলেন, “শুধু পেঁয়াজ নয়, ধানসহ প্রতিটি কৃষি পণ্যের ক্ষেত্রে এক দিকে কৃষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে, অন্য দিকে জনগণের উপর বর্ধিত দামের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
“মধ্যস্বত্বভোগীদের সহায়তায় কোটিপতিদের সিন্ডিকেট হাজার কোটি টাকা জনগণের পকেট থেকে ইতোমধ্যে হাতিয়ে নিয়েছে।”
এ থেকে পরিত্রাণের জন্য দেশের প্রতি ইউনিয়নে অস্থায়ী গুদাম স্থাপন করে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করার ওপর জোর দেন সেলিম। আর সেজন্য পাঁচ থেকে সাত হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রয়োজন হতে পারে বলে তিনি মত দেন।
গত বোরো মৌসুমের মত কেউ যেন কৃষককে ধানের ‘ন্যায্য দাম’ থেকে ‘বঞ্চিত’ করতে না পারে সেজন্য ‘হেই সামালো‘ এবং ‘জানকবুল’ আওয়াজ তুলে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান সিপিবি সভাপতি।
অন্যদের মধ্যে পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবি ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল হক রুবেল সমাবেশে বক্তব্য দেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।