এমওইউ-চুক্তি বোঝে না বিএনপি, ‘অবাক’ কাদের

বিএনপি নেতারা সমঝোতা স্মারক এবং চুক্তির পার্থক্য বোঝেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2019, 09:07 AM
Updated : 18 Nov 2019, 09:07 AM

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে হওয়া চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বিস্তারিত প্রকাশের দাবি জানিয়ে রোববার প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিএনপি চিঠি দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি, বিএনপি সেটি জেনেও না জানার ভান করছেন। 

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বিএনপিতে অনেক বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি আছেন নেতৃত্বে। আমি অবাক হয়ে যাই তারা এমওইউ ও চুক্তির মধ্যে পার্থক্য, এটা বোঝেন না। চুক্তি তো হয়নি, মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং ও চুক্তি তো এক কথা না। এখানে কোনো চুক্তি হয়নি।”

গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়া দিল্লি সফরের সময় ভারতের সঙ্গে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা (এমওইউ)সই এবং তিনটি যৌথ প্রকল্প উদ্বোধন হয়। স্বাক্ষরিত চুক্তিতে ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহার এবং এলপিজি রপ্তানির সুযোগ দেওয়া নিয়ে দেশে সমালোচনা হয়।

এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বিস্তারিত প্রকাশের দাবিতে রোববার প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেয় বিএনপি।

ভারতের সঙ্গে চারটি এমওইউ এবং তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপিকে বলেন এমওইউ ও চুক্তির মধ্যে পার্থক্যটা কেন বোঝে না। তারা জেনেও কি না জানার ভান করছে? এমওইউকে কেন চুক্তি বলছে এখানে আমার প্রশ্ন। এখানে নাথিং সিক্রেট, এভরিথিং ইজ ওপেন সিক্রেট। এমওইউ কোনোটার সিক্রেসি কিছু নেই। এটা কোনো চুক্তি না।”

চলমান শুদ্ধি অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, “শুদ্ধি অভিযান যে থামেনি তা প্রধানমন্ত্রী সংসদেও বলেছেনে, উপজেলা পর্যন্ত এ শুদ্ধি অভিযান চলতে থাকবে।”

অভিযান শুরুর পর যারা দেশত্যাগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ ফিরেছে বলে গণমাধ্যমে যে খবর এসেছে বি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাদের বলেন, “পুলিশ খতিয়ে দেখছে, সেরকম কিছু হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারও ব্যাপার শৈথিল্য প্রদর্শনের কোনো সুযোগ নেই। ট্রার্গেট অ্যাচিভ করার জন্য যত রকমের দরকার, স্যাক্রিফাইস করা হবে।”

গ্রেপ্তার জি কে শামীমের মত ঠিকাদার সড়ক খাতে রয়েছে কিনা প্রশ্নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “এরকম কেউ আমার এখানে ঢুকতে পারেনি। আমাদের এখানে মূলত কাজগুলো করে আর্মি, মোনায়েম কোম্পানি, রেজা  কন্সট্রাকশন ও মীর আক্তার। কোনো ঠিকাদারের সাথে আমার এখানে বৈঠক করিনি। তারা কোনো আলাপ করলে চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সাথে আলাপ করে।”

পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হতে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে জানতে চাইল তিনি বলেন, “পেঁয়াজ নিয়ে হাহাকার কমে যাবে, দুই তিনদিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসা শুরু করলেও হাহাকার কমে যাবে। ঘাটতি পূরণ হলে হাকাকারও কমে যাবে।”