শনিবার বিকেলে নগরীর নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয় মাঠে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “মানুষ এখন বিয়ে বাড়িতে উপহার নিয়ে যায় না। উপহার হিসেবে পেঁয়াজ নিয়ে যাচ্ছে। পেঁয়াজের দাম এখন কেজিতে আড়াইশ টাকা ছাড়িয়েছে।
“ঘণ্টায় ঘণ্টায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজের ব্যাপারে একটা সমাধান দিয়েছেন। তিনি মানুষকে পেঁয়াজ খেতে মানা করেছেন। কারণ উনার তো মানুষের ভোটের প্রয়োজন নেই। তিনি মানুষকে তোয়াক্কা করেন না।”
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, চট্টগ্রামে কৃষক দলের উদ্যোগে একটা সেমিনার আয়োজন করতে হবে। ৩০ টাকার পেঁয়াজ আড়াইশ টাকা কীভাবে হতে পারে এটার ইতিহাস মানুষকে জানতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বহু মানুষ মারা গেছে। অথচ মন্ত্রী বলছে, এর পেছনে নাকি নাশকতা আছে। এই মন্ত্রীরা জীবনেও ভোটে নির্বাচিত হয়নি।
“এরা জনবিচ্ছিন্ন, এরা ভোট ডাকাত। মানুষের ভোট কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখেছে শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য।”
বিশ্বের গণতান্ত্রিক নেতাদের যেভাবে মুক্ত করা হয়েছে, সেভাবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আমীর খসরু।
তিনি বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমান উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছে, তা অন্য কোনো নেতা পারেনি। তারা ক্যাসিনো উৎপাদন করতে পারে। শেয়ার বাজার লুট করতে পারে।
“মানুষের শ্রম দিয়ে উৎপাদনের মধ্যে যে আনন্দ, হালাল আয়ের মাধ্যমে একটি দেশ কোথায় যেতে পারে শহীদ জিয়া তা চিন্তা করেছিলেন। সেজন্য তিনি কৃষক দল গঠন করেছিলেন।”
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ও উত্তর জেলা বিএনপির নেতা নাজিম উদ্দিন।
কৃষক দলের উত্তর জেলার সভাপতি ইসহাক কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম লতিফির সঞ্চালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিভাগীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এম এ হালিম।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম লতিফিকে সভাপতি ও বদিউল আলম বদরুলকে সাধারণ সম্পাদক করে উত্তর জেলা কৃষক দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়।