শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য উপ কমিটি আয়োজিত ‘শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের এক দশক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “যদি বিএনপি ও তার মিত্রদের নেতিবাচক রাজনীতি না থাকত তাহলে গত দশ বছরে বাংলাদেশ আরও বহু দুর এগিয়ে যেতে পারত।
“ইকোনোমিক লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যদি দিনের পর দিন অবরোধ করে না রাখত, মানুষের উপর পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ ও হামলা পরিচালনা করে জনগণকে জিম্মি করে রাখার যে রাজনীতি সেটা যদি না থাকত তাহলে দেশের পরিবর্তন আরও অনেক বেশি ঘটতে পারত।”
তিনি বলেন, “সবকিছুতে ‘না’ বলার যে নেতিবাচক রাজনীতি সেটা দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। অবশ্যই যারা দায়িত্বে থাকবে তাদের সমালোচনা হবে। আমরা মনে করি, সমালোচনা পথচলাকে শাণিত করে। কিন্তু অন্ধের মতো সমালোচনা দেশ, রাজনীতি ও সমাজ কোনোটির জন্য সহায়ক নয়।”
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “ক্ষুধাকে জয় করেছে বাংলাদেশ। তাই আমরা পোস্টারে ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ চাই’ লিখি না। লিখি দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধাকে জয় করেছি আমরা।
“দেশের ১৫ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। সাড়ে ৩ কোটি মানুষ ফেইসবুক ব্যবহার করে। চট্টগ্রামের রিকশাওয়ালা ভোলায় পরিবারের কাছে মোবাইলে টাকা পাঠায়। বিদেশে সন্তানের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব।”
তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর, অন্যতম শিল্পনগরী। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ নতুন উচ্চতায় উঠেছে। দারিদ্র্য কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ। বাংলাদেশ এখন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছে ‘কেস স্টাডির’ দেশ।
“দেশের ৯৪ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। এখন গ্রামে এয়ার কন্ডিশনারের শোরুম গড়ে উঠছে। মুজিব বর্ষ শেষে শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাবে। এখন কলকাতার মানুষ বাংলাদেশে বেড়াতে আসে। টাকার মানও কাছাকাছি। বিএনপির অপরাজনীতি, পেট্রোল বোমা হামলা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরুদ্ধ না করলে দেশ আরও এগিয়ে যেত।”
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং শিল্প ও বাণিজ্য উপ কমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আালোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক অনুপম সেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সাবেক সাংসদ মো. আব্দুচ ছাত্তার।