শুক্রবার আসরের পর ঢাকার গোপীবাগের ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের বিশাল মাঠে প্যান্ডেল টাঙিয়ে এই কুলখানি হয়। কুলখানিতে কোরান তেওয়াতসহ দোয়া দরুদ পড়ার পর সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বাবার আত্মার মাগফিরাতের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
কুলখানিতে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রয়াত নেতার ঘনিষ্ঠজন অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম।
কুলখানি রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, রেজা কিবরিয়া, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণসংহতি আন্দোলনের জুনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও বাম রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
ইসলামী দলগুলোর মধ্যে খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, সেলিম উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করীম, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।
অন্য দলগুলোর মধ্যে লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জাগপার খোন্দকার লুতফুর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, সাবেক ছাত্র নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম ছিলেন।
এছাড়া অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, বিএনপির আসাদুজ্জামান রিপন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংসদ হারুনুর রশীদ, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শিরিন সুলতানা, জি এম সিরাজ, এহছানুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, শামীমুর রহমান শামীম, মাহবুবুল হক নান্নু, আবদুল আউয়াল খান, শহীদুল ইসলাম বাবুল, বজলুল বাসিত আনজু, কাজী আবুল বাশার, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, নবী উল্লাহ নবী, মকবুল ইসলাম টিপু, আবদুল কাদের, সুরাইয়া বেগম, রফিক শিকদার, মাওলানা শাহ নেছারুল হক, টিকাটুলী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মহিউদ্দিন আশরাফীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ দোয়া মাহফিলে ছিলেন।
জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান সাংসদ আনোয়ার হোসেন মঞ্জু দোয়া মাহফিলের পর গোপীবাগে খোকার বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
গত ৪ নভেম্বর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাদেক হোসেন খোকা। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে মরদেহ দেশে এনে জুরাইনে তাকে দাফন করা হয়।
দাফনের আগে প্রথমে নিউ ইয়র্কের জামাইকা মুসলিম সেন্টারে, ঢাকায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়, নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবন ও ধুপখোলা মাঠে খোকার জানাজা হয়, যাতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।