এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেছেন, দলের বক্তব্য তুলে ধরবেন বলে যে ঘোষণা দিয়ে তারা সংসদে যোগ দিয়েছিলেন, সেই ভূমিকা তারা রাখতে পারছেন না।
“তাই ঘরের আন্দোলন বাদ দিন, আসুন আমরা রাস্তার আন্দোলন করি,” বিএনপির সাংসদ মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে একথা বলেছেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর এবার কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বিএনপি ভোটে গেলেও তাদের ভরাডুবি হয়। ৩০ ডিসেম্বরের ওই নির্বাচনে বিএনপির ছয় প্রার্থী এবং তাদের জোট শরিক গণফোরামের দুজন নির্বাচিত হন।
নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ তুলে সংসদে না যাওয়ার ঘোষণা দেয় বিএনপি ও তার জোটসঙ্গীরা। তবে শেষ পর্যন্ত তারা সবাই সংসদে যোগ দিয়েছেন, বিএনপি থেকেও তাদের শপথ নেওয়ায় সায় দেওয়া হয়।
প্রথম থেকেই এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে আসছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যিনি ঢাকা-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর কাছে।
শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় গয়েশ্বর বলেন, “মোশাররফ (সাংসদ মোশাররফ হোসেন) বলেছে, পার্লামেন্টে কথা বলব। সেখানে তারা (আওয়ামী লীগ) তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেবে কেন? এই পার্লামেন্ট তাদের, এই পার্লামেন্ট তো জনগণের না।
গয়েশ্বর বলেন, “আপনারা বলেছেন, ঘরে-বাইরে আন্দোলন। ঘরে বা পার্লামেন্টে আমাদের সেই অবস্থা নাই, সেই শক্তিও আমার নাই। তাই ঘরের আন্দোলন বাদ দিন, আসুন আমরা রাস্তার আন্দোলন করি।”
প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন তুলে ধরে তাকে ‘সার্বজনীন নেতা’ হিসেবে অভিহিত করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পেছনে ‘সিন্ডিকেটের কারসাজি’ রয়েছে বলে মনে করছেন এই বিএনপি নেতা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উদ্যোগে বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার স্মরণে এই আলোচনা সভা হয়। আলোচনা সভার পর প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি দলীয় সাংসদ মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, শাহ নেছারুল হক, ফরিদ উদ্দিন, কাজী মনিরুজ্জামান, মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।