তবে কীভাবে এই সরকারের পতন ঘটবে বলে তিনি মনে করছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি কয়েক বছর আগে আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপির সঙ্গে সখ্য গড়া মান্না।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এই আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদও নেতাকর্মীদের আশার কথা শুনিয়েছেন।
নিজেদের ‘মাঠে না থাকার’ কথা স্বীকার করেই দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেছেন, “আন্দোলন অনেক রকমের হতে পারে। আন্দোলন যে একেবারে রাস্তায় গিয়ে, রাজপথে গিয়ে আন্দোলন হবে এমন কোনো কথা নেই। গতানুগতিকভাবে ঐতিহ্যগতভাবে সেটা সত্য। কিন্তু তারপরেও এমন ঘটনা হতে পারে যে, দেশের মানুষ নিজেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে যাবে।
“তখন তাদেরকে প্রতিরোধ করা সরকারের পক্ষে সম্ভবপর হবে না।”
সরকারের সমালোচনা করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “উনি (শেখ হাসিনা) যদি ক্ষমতায় থাকেন আবরাররা মারা যাবে, নুসরাতরা ধর্ষিতা হবে, মা-বোন ইজ্জত নিয়ে বাঁচতে পারবেন না, কৃষক তার ধান বেচে দেবে, পাটে আগুন লাগিয়ে দেবে… তারা বাঁচতে পারছে না।
“উনি জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে যতই বড়াই করুক, ঘণ্টা বেজে গেছে, দুই মাস-তিন মাস থাকতে পারবে। কারণ মানুষ জানে উনি যে ক্ষমতায় আছেন জোর করে আছেন, মিথ্যা কথা বলে আছেন, ষড়যন্ত্র করে আছেন, ভয় দেখিয়ে আছেন। একবার ভয় যখন কেটে যাবে, বাঁধ যখন ভেঙে যাবে তখন বানের পানির মতো ভেতরে ঢুকবে সব কিছু সয়লাব করে দেবে। কেউ রুখতে পারবে না।”
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির শওকত মাহমুদ, ফজলুর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিরিন সলুতানা, শামীমুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।