গণতন্ত্রের শহীদ নূর হোসেনকে স্মরণ

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রতীক শহীদ নূর হোসেনের গণতন্ত্রের জন্য আত্মত্যাগকে স্মরণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2019, 07:50 AM
Updated : 10 Nov 2019, 07:50 AM

রোববার সকালে রাজধানীর গুলিস্তানের নূর হোসেন স্কয়ারে ফুল দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সকাল ৮টায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নুর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “নূর হোসেন গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছিলেন।

“যে গণতন্ত্রের জন্য নূর হোসেন রক্ত দিয়েছিলেন, দেশে সেই গণতন্ত্র অব্যাহত আছে।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরসহ অনেকে এসময় উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুল্লাহ ক্কাফী রতনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বজলুর রশীদ ফিরোজের নেতৃত্বে বাসদ, এমরান আহমেদের নেতৃত্বে ওয়ার্কার্স পার্টি, সাইফুল হকের নেতৃত্বে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটি ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে যুব লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, ছাত্র লীগ, কৃষক লীগ, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠন নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।

ঢাকার নারিন্দায় এক অটোরিকশা চালকের ঘরে জন্ম নেওয়া নূর হোসেন ছিলেন যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী।অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেষে নূর হোসেন গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ নেন।

জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন ১৯৮৭ সালের এই দিনে নূর হোসেন বুকে ও পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ শ্লোগান লিখে রাজপথে বের হয়েছিলেন।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল পল্টন এলাকার ‘জিরো পয়েন্ট’ অতিক্রম করার সময় পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও গুলি ছুঁড়ে মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখন নূর হোসেন ও যুবলীগ নেতা বাবুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আরও রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।