বিএনপি নেতাদের দল ছাড়ার কারণ নেতিবাচক রাজনীতি: কাদের

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির কারণে জ্যেষ্ঠ নেতারা একে একে দল ছাড়ছেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2019, 10:39 AM
Updated : 8 Nov 2019, 10:39 AM

শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা একে একে পদত্যাগ করছেন বলে এক সাংবাদিকের মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমার কাছে মনে হয়, এটা বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি। আমি এক কথায় এটাই বলব।”

তিন দিন আগে বিএনপি ছাড়ার পর দল পরিচালনা পদ্ধতি ও নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনা করেন ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান। মনোনয়ন ও দল পুনর্গঠন নিয়ে ক্ষুব্ধ এই নেতা গত বছর নির্বাচনের পর থেকে একরকম দলবিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন।

এর আগে দলের দুই জ্যেষ্ঠ নেতা মোসাদ্দেক হোসেন ফালু ও ইনাম আহমেদ চৌধুরী পদত্যাগ করেন। ইনাম এর আহমেদ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।

সাবেক আমলা ইনাম দুবছর আগে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর সর্বশেষ কাউন্সিলে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছিল তাকে। নিয়মিত দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় না হলেও বিভিন্ন ফোরামে দলের হয়ে কথা বলতেন তিনি।

শুক্রবারের বৈঠক নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশজুড়ে শাখা সংগঠনের বিভিন্ন জায়গায় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো পুর্গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সম্মেলন সামনে রেখে নেতাকর্মীদের মধ্যে ‘অসুস্থ প্রতিযোগিতা’ বরদাশত করা হবে না বলে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, “কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি বন্ধ করতে হবে। আমাদের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতা হবে সুস্থ।

“অসুস্থ প্রতিযোগিতা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। আমি এখানে নেত্রীর পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “কয়েকদিন আগে আমরা প্রতিনিধি সম্মেলনে গিয়েছিলাম। তারপরও পত্রপত্রিকায় রাজশাহীর খারাপ খবরে ভরে গেল- এটি আমাদের জন্য দুঃখজনক। সম্মেলন সামনে রেখে সকল তীক্ততার অবসান ঘটবে বলে আমি আশা করি।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী,ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী ও সহদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এসম সেখানে ছিলেন।

এর আগে আগে সমীর চন্দ্র ও উম্মে কুলসুমের নেতৃত্বে কৃষক লীগের নতুন কমিটি দলের শীর্ষ নেতাদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।