জামিন স্থগিতের জন্য কমিশনের আবেদনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ বুধবার ‘নো অর্ডার’ দেয়।
এর ফলে এমপি হারুনকে হাই কোর্টের দেওয়া ছয় মাসের অন্তবর্তী জামিন বহাল থাকছে এবং তার মুক্তিতে কোনো বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
আপিল বিভাগে হারুনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
আদেশের পর খুরশীদ সাংবাদিকদের বলেন, হাই কোর্টের জামিন আদেশের কপি পেলে তারা আপিল বিভাগে নিয়মিত লিভ টু আপিল করবেন।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়ি বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকির দায়ে সংসদ সদস্য হারুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে গত ২১ অক্টোবর কারাগারে পাঠায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
হারুনের পাশাপাশি চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে দুই বছর কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় রায়ে।
বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময় সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করে তা বিক্রির অভিযোগে হারুনসহ ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ এই মামলা করে দুদক।
হারুনের আইনজীবীরা জজ আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করলে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের একক বেঞ্চ সোমবার তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। সেই সঙ্গে এমপি হারুনুর রশীদকে দেন ছয় মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন।
ওই জামিন স্থগিতের জন্য দুদক মঙ্গলবার চেম্বার আদালতে গেলে চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি বুধবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে উঠলে শুনানি শেষে হাই কোর্টের আদেশই বহাল থাকে।