বুধবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাদুঘরের সামনে সমাবেশ শেষে পদযাত্রায় অংশ নেন জোটের নেতারা।
পদযাত্রার আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জোটের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল কাফী রতন বলেন, “চলতি মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে যেসব চুক্তি করা হয়েছে তার কোনোটিতে দেশের স্বার্থ রক্ষা হয়নি। সবগুলোতে ভারতের ১৬ আনা স্বার্থ সংরক্ষিত হয়েছে। তিনি তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি করতে গিয়েছিলেন; কিন্তু উল্টো ফেনী নদীর পানি দিয়ে আসার চুক্তি করে এসেছেন।”
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের ‘ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি’ দাবি করে এই সিপিবি নেতা বলেন, সে কারণে ভারতের সঙ্গে ‘নতজানু পররাষ্ট্র নীতি’ অবলম্বন করতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।
বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা প্রসঙ্গে রতন বলেন, “আবরার বাংলাদেশের স্বার্থে কথা বলেছিলেন। কিন্তু এই সরকার তার ওই সব কথা সহ্য করতে পারেনি। সরকারের গুণ্ডাবাহিনী রাতভর হলের টর্চার সেলে আবারারকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে।
“শুধু বুয়েটের হলে নয়, সম্প্রতি বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ যুবলীগের যেসব নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত টর্চার সেল ছিল। পুরো বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগ টর্চার সেল বানিয়ে ফেলেছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে, হলে হলে তাদের টর্চার সেল রয়েছে।”
সমাবেশ থেকে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজসহ জোটের অন্যান্য নেতারা সমাবেশ ও পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন।