বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে দুপুরে এক সমাবেশে তিনি বলেন, “আজকের পত্রিকায় দেখলাম, ক্যাসিনো অপরাধে ওমর ফারুকের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকে অব্যহিত দেওয়া হয়েছে।
“মানুষ তো এসমস্ত টোকাইদের বহিষ্কার দেখতে চায় না, মানুষ তো এই নৈশভোটের সরকারের অপসারণ চায়। আমি বলতে চাই, একমাত্র এই সরকারের অপসারণ ব্যতিত কখনই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না।”
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড ও ভোলার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা আব্বাস বলেন, “আবরারের হত্যার পর যেসব ছেলেরা গ্রেপ্তার হয়েছে পত্রিকায় এসেছে, তারাসহ অনেক ছেলেই বলেছে, বড় ভাইরা বলেছে আমরা ধরে এনেছি, অনেক ছেলে বলেছে বড় ভাই বলেছে আমরা মেরেছি। এই যে আমাদের দেশটাকে এভাবে মেধাশূন্য করা হচ্ছে ।
“আজকে আওয়ামী লীগের ভাইয়েররা ভাবছেন- এটা তো বিএনপির ওপর অত্যাচার হচ্ছে, বিএনপিকে শেষ করে দিতে হবে। আরে ভাই, যাদের নির্দেশে আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা আপনারা এই কাজটা করতেছেন, একদিন যে আপনাদের ধরবে না ওইটা জানেন কিভাবে? সেই সময় দেরি নয়, আপনাদের ওপরেও এই জুলুমটা আসবে।”
তিনি বলেন, “আবরার মারা গেল, আমাদের বিএনপির বহু নেতাকর্মী গুম হল, সেই দিন ভোলার বোরহানউদ্দিনে পাখির মতো গুলি করে মেরে ফেলল, আবার সেই গুলির ব্যাপারে খুলনার এক সাংবাদিক ভাই কথা বলছিল তাকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে গ্রেপ্তার করা হল।
“দেশের স্বাধীনতা কোথায় গেল? দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন দেশ বাঁচাও, এজন্যই তাকে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে এবং জেলে বন্দি থাকতে হয়েছে।”
আবরার হত্যার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে ঢাকা এই সমাবেশ হয়।
সমাবেশে আবরারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান মির্জা আব্বাস।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে ও সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় সমাবেশে সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে আসাদুজ্জামান রিপন, আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, নাজিমউদ্দিন আলম, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, আকরামুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।