নজরুল ইসলাম বাবুর ব্যাংক হিসাব তলব

নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুর ব্যাংক হিসাবসহ সব সম্পদের তথ্য চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2019, 06:06 PM
Updated : 22 Oct 2019, 06:06 PM

একই সঙ্গে তার স্ত্রী সায়েমা আফরোজ ও তার মালিকানাধীন চার প্রতিষ্ঠানের সম্পদের তথ্যও তলব করা হয়েছে।

আগামী সাত দিনের মধ্যে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার অনুরোধ করে মঙ্গলবার এনবিআর থেকে দেশের সব ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

নজরুল ইসলাম বাবুর প্রতিষ্ঠানগুলো হল- সূচনা ড্রাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড, স্টার ট্রেডিং কোম্পানি, বাবু এন্টারপ্রাইজ এবং সূচনা ড্রাইং প্রিন্টিং ওয়েভিং ইন্ডাট্রিজ।

বাবুর ব্যাংক হিসাব তলবের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ তদারকি বিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিআইএফইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান মঙ্গলবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত আমরা ৫০ জনের বেশি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য জানতে চেয়েছি। তারমধ্যে তিনি (নজরুল ইসলাম বাবু) থাকতে পারেন।”

গত মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকার বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনো চালানোর বিষয়টি ধরা পড়ার পর অনিয়ম-দুর্নীতির জন্য যুবলীগের কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার এবং অনেকের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।  

এনবিআরের চিঠিতে নজরুল ইসলাম বাবুর বাবা ও মায়ের নামসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। তিনটি পৃথক ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হল- ৮/১২, গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স, ৮৮ শান্তিনগরের ২/৬০৪ ইস্টার্ন পিয়ার এবং নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজারের বাজবি গ্রাম।

চিঠিতে বলা হয়, নজরুল ইসলাম বাবু, তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্য এবং মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর একক বা যৌথ নামে কোনো মেয়াদি আমানত হিসাব, যে কোনো ধরনের সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট, সঞ্চয়পত্র বা অন্য কোনো ধরনের সেভিংস ইন্সট্রুমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট স্কিম, ডিপোজিট স্কিম বা অন্য যে কোনো ধরনের বা নামের হিসাব পরিচালিত অথবা রক্ষিত থাকলে ওই হিসাবের ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী ও ঋণের বিপরীতে রক্ষিত জামানতের বিবরণী পত্রপ্রাপ্তির সাতদিনের মধ্যে এনবিআরে জমা দিতে বলা হয়েছে।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেছে এনবিআর।

আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ১২৪ (২) ধারা অনুযায়ী এককালীন ২৫ হাজার এবং পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ৫০০ টাকা করে জরিমানা আরোপ করা হবে। একইভাবে ১৬৪ (সিসি) ধারা অনুযায়ী, অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড আরোপের লক্ষ্যে ফৌজদারি কার্যক্রম গ্রহণের কথাও বলেছে এনবিআর।