সাম্প্রতিক ‘কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত ঘটনা’ নজরে আসার পর ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জের আওয়ামী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালমান রহমান।
নির্দেশনায় তিনি লিখেছেন, এলাকায় তার যাওয়াকে কেন্দ্র করে ‘বিশৃঙ্খলা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কর্মসূচি বা কর্মকাণ্ডকে তিনি ‘নিরুৎসাহিত’ করতে চান।
“অতি-উৎসাহী নেতাকর্মীদের বিশৃঙ্খল উপস্থিতি, অনিয়ন্ত্রিত ও অপ্রয়োজনীয় মোটরসাইকেল বহর সাধারণ জনগণের মনে বিরক্তি সৃষ্টি করে।”
তাকে অভ্যর্থনা জানাতে মোটর সাইকেল বহর বা বিশৃঙ্খল মহড়া না দিতে নির্দেশনা দেন সালমান রহমান।
দুই উপজেলার স্থানীয় প্রশাসনকে লেখা আলাদা এক চিঠিতে তিনি যত্রতত্র লাগানো পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন অবিলম্বে অপসারণ করতে বলেছেন।
তিনি লিখেছেন,“শুধু সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রচারের স্বার্থে বিশেষ স্থানে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো যাবে।
এসব ক্ষেত্রেও কেবল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি ব্যবহার করা যাবে।”
অনুমতি ছাড়া এ ধরনের পোস্টার, ব্যানার বা ফেস্টুনে তার ছবি ব্যবহার না করতেও নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন সালমান রহমান।
ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে যেন ব্যাঘাত না ঘটে, সে বিষয়ে সজাগ থাকার নির্দেশনা দেন তিনি।
সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জনসাধারণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনের পরামর্শ দেন সালমান রহমান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত বক্তব্য নিয়ে উগ্র প্রতিক্রিয়া দেখানোর পরিবর্তে তথ্য-প্রমাণ ও যুক্তি দিয়ে তা মোকাবেলার পরামর্শও দেন তিনি।
কোনো দুর্নীতি, অন্যায়-অবিচার দৃষ্টিগোচর হলে আইনি প্রতিকারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা।