মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে ওই ঝটিকা মিছিল শেষ করে তিনি আবার পল্টনের কার্যালয়ে ফিরে এসেছেন।
মাগরিবের নামাজের পর হঠাৎ করে রিজভীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মশাল হাতে নিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে সমবেত হন।
সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, “মিডনাইট নির্বাচনের অবৈধ সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণভাবে বন্দি করে রেখেছে। এর মধ্য দিয়ে তারা শুধু একজন নেত্রীকেই বন্দি করেনি, তারা গণতন্ত্রকে বন্দি করে রেখেছে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকেও তারা বন্দি করে রেখেছে।
“আমরা মনে করি, দেশনেত্রীর মুক্তির মধ্য দিয়েই কেবল গণতন্ত্র ফিরবে এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব মজবুত হবে। আমরা অবিলম্বে দেশনেত্রীর মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।”
রিজভীর এই বক্তব্যের পরপরই সায়েন্স ল্যাব মোড় থেকে বাটা সিগন্যাল অভিমুখে মিছিল নিয়ে এগোতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার ওই এলাকার মার্কেটগুলো বন্ধ থাকায় সড়কে গাড়ির চাপ ছিল অন্য দিনের তুলনায় কম।
এই মিছিলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিসহ স্থানীয় ছাত্র দল, যু্বদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
গত ১০ বছরের অধিকাংশ সময়ই নয়া পল্টনের কার্যালয়ে থেকে সংবাদ সম্মেলন করে দলের বক্তব্য-বিবৃতি নিয়মিত প্রচার করে আসছেন রিজভী। একবার পুলিশ তাকে কার্যালয়ের ভেতর থেকে তুলেও নিয়ে গিয়েছিল।
গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দ্বিতীয় দফায় রিজভী এক টানা নয়া পল্টনের এই কার্যালয়ে রয়েছেন। ঈদও তিনি করেছেন দলের কার্যালয়েই।
এরমধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে নেতাকর্মীরা মিছিল করলে দলীয় কার্যালয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে গ্লোগান দিয়ে তাদের সঙ্গে আওয়াজ তুলতে দেখা গেছে বিএনপির এই নেতা।
তবে সপ্তাহ দুয়েক আগে নয়া পল্টনের রাস্তায় নেমে ঢাকার কেরানীগগঞ্জ বিএনপি ও মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে মশাল মিছিল করেছিলেন তিনি।