বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক শোকসভা করতে চেয়েছিল সরকারবিরোধী এই জোট।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেনের উপস্থিতিতে গত বুধবার জোটের স্টিয়ারিং কমিটির এক বৈঠকে ওই কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পাওয়ার পর সোমবার সন্ধ্যায় বেইলি রোডে কামাল হোসেনের বাসায় তার সভাপতিত্বে ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির আরেক সভায় কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে পুলিশ বলছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে অন্য স্থানে সমাবেশ করতে বলা হলেও তারা রাজি হয়নি।
ফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সরকার অনুমতি না দেওয়ার কারণে আগামীকাল ২২ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গণ শোক সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।”
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিকল্পধারর আহ্বায়ক নুরুল আমিন বেপারী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরউল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া।
বৈঠকে ফ্রন্টের নেতারা সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি না পেলে কী করবেন- এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নে কামাল বলেছিলেন, “অনুমতি না দেওয়া মানে সরকার সংবিধানকে লঙ্ঘন করছে। যদি এই ধরনের সংবিধান লঙ্ঘন করা শুরু করে আমি তো মনে করি, দেশের মানুষের তাদেরকে (সরকার) ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া উচিৎ।”
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোলার ঘটনাসহ সার্বিক অবস্থায় নাশকতার আশঙ্কায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, “সেকেন্ড অপশন হিসেবে তাদের মহানগর নাট্য মঞ্চে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো জবাব দেয়নি।”