আগামী ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সম্মেলন সামনে রেখে সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টক শোতে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার অধ্যাপক মীজান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যুবলীগ নিয়ে সারা দেশে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর অনেক নেতাকর্মী আমাকে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। সেই কারণে আমি বলছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন আমাকে যেই দায়িত্ব দিয়েছে তা আমি সঠিকভাবে পালন করেছি।
“যুবলীগের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে নেত্রী আমাকে যুবলীগের দায়িত্ব দিলে আমি উপাচার্য পদ ছেড়ে দিয়ে দায়িত্ব নেব।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিংয়ের অধ্যাপক মীজানুর রহমানের যুবলীগ সম্পৃক্ততা অনেক দিনের। ষাটোর্ধ্ব এই অধ্যাপক বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
তবে ২০১৩ সালে জগন্নাথের উপাচার্য হওয়ার পরে আর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত নন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক মীজান বলেন, “যুবলীগের রাজনীতি আমি দীর্ঘদিন ধরে করি। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে যুবলীগের কোনো কর্মকাণ্ডে যাইনি।”
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার কয়েকটি ক্রীড়া ক্লাবে র্যাবের অভিযানে ক্যাসিনো চালানোর প্রমাণ পাওয়ার পর এতে যুবলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোয় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এবং সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এরপর থেকে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নামও উঠে আসে। তার বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়।
ওমর ফারুক চৌধুরী ছাড়াই সম্প্রতি সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের বৈঠক হয়েছে।
এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে মীজানুর রহমান বলেন, “ওমর ফারুক চৌধুরী চেয়ারম্যানের দায়িত্বে না থাকলে ১ নম্বর সহ-সভাপতি হিসেবে আমিই দায়িত্বে আসি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যুবলীগের দায়িত্ব দিলে ভিসির পদ ছাড়তে আমি রাজি আছি।”