দাগি কাউন্সিলররা পাবেন না মনোনয়ন: কাদের

ঢাকায় আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত যেসব কাউন্সিলর দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হবেন, আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2019, 01:59 PM
Updated : 15 Oct 2019, 01:59 PM

দুর্নীতিতে যারা মদদ দিয়েছেন, তাদের ‘ছাতা’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, “ছাতাগুলোও খোঁজা হচ্ছে।”

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ক্যাসিনোকাণ্ডে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের কয়েকজন কাউন্সিলরের নাম যেমন এসেছে,  তেমনি বিভিন্ন অভিযোগ  অভিযোগ উঠছে নানাজনের বিরুদ্ধে।

তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে কাদের বলেন, “দেখুন, এটা কেস টু কেস হবে। অপরাধ অনুযায়ী এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি বলেন, “একজন তো অলরেডি অ্যারেস্টেড, আরও একজনের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। এগুলো যাদের বিরুদ্ধে আসবে তারা পরবর্তী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন না, এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।

“এই ধরনের অপকর্মের অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে আছে,তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না। যেখানে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, দুদকে বলা আছে, দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারে, যে কারও ব্যাপারে।“

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এবার কাউন্সিলকে সামনে রেখে আমাদের টার্গেট- তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি করা। কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি যাতে দলের নেতৃত্বে না আসতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা হবে।”

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের চলমান ‘শুদ্ধি অভিযানের’ মধ্যে হঠাৎ করেই লাপাত্তা হন ক্ষমতাসীন দলের নেতা মিজান। ভারতে পালানোর চেষ্টায় থাকা মিজানকে শুক্রবার রাতে শ্রীমঙ্গল থেকে আটক করে র‌্যাব।

এসব কাউন্সিলদের মাথার উপর ছায়া হয়ে যারা ছিল তাদের ধরা হচ্ছে কি না- এ প্রশ্নে কাদের বলেন, “ছায়া তো নয় ছাতা। ছাতাগুলোও খোঁজা হচ্ছে, ছাতাও খোঁজা হচ্ছে। আমি সেদিনও বলেছি, এম্পটি শেড ব্যাড ক্যাটেলের (দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল) চেয়ে ভালো।”

‘ছাতাদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কবে নাগাদ দৃশ্যমান হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন,“দৃশ্যমান অলরেডি হচ্ছে। যারা অ্যারেস্ট হয়েছে তারা কী কম গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল? বড় বড় পদে ছিল। অনেকের বিরুদ্ধে চার্জশিটও হয়েছে। জেলা পর্যায়ের নেতা গত সংসদের এমপির বিরুদ্ধেও দুদকে চার্জশিট হয়েছে। আরও কয়েকটার তদন্ত চলছে।”

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান থেমে গেছে নাকি, চলমান আছে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এটা কোনোদিনও  থামবে না। যতক্ষণ না এটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, টার্গেট এচিভ করতে না পারব; ততক্ষণ পর্যন্ত মাদক, সন্ত্রাস, ক্যাসিনো জুয়া, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে অভিযান শুরু করেছেন, তা শেষ হবে না।”