মঙ্গলবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়েসাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আবরারের এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত আজ আর কাল,আমার মতে তো মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত। আদালত কী করবে জানি না।
“মৃত্যুদণ্ড হওয়া মানে কয়েকটা ব্রিলিয়ান্টছেলে বাংলাদেশের মেধাবী কয়েকটা সন্তান চলে গেল, হারিয়ে গেলে দেশ তো ক্ষতিগ্রস্ত হল!শুধু আবরারের জন্য নয় যারা এ অপকর্মটি করেছে তাদের জন্য, তারাও তো মেধাবী ছাত্র। এমনকিভ্যান চালায় পিতা এমনও তো আছে।”
যাদের কারণে এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা ‘খুনি’হয়েছে তাদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ছাত্রলীগসার্বিকভাবে তো এ ঘটনার সাথে জড়িত না। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড কত ক্ষতিকর সরকার নিশ্চয়ইবিব্রত হয়েছে। রুলিং পার্টির ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে হয়েছে, এটার সাথে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকেএ ধরনের সিদ্ধান্তে জড়িত করা ঠিক নয়। ”
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী কাদের বলেন, “এ ধরনের ব্যাপারবিচ্ছিন্নভাবে ঘটনা যারা ঘটিয়েছে ‘কেইস টু কেইস’ বিচারও হচ্ছে। গুটি কয়েকের জন্য গোটাপার্টিকে তো দায়ী করতে পারি না। সরকার ক্ষমতায় আছে আমাদের দায় আছে, এ ধরনের ঘটনায় সরকারও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। আমরা বিবেকের রায় থেকে ত্বড়িৎ ব্যবস্থা নিয়েছি।”
বুয়েট শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়ায় তাদেরএখন আন্দোলন বাদ দিয়ে ক্লাসে ফিরে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
‘বিশৃঙ্খলারচেষ্টায়’ বিএনপি
বিএনপি আবরার হত্যাকাণ্ডকে কাজে লাগিয়ে দেশেবিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “আববার হত্যাকাণ্ডে আমরা ত্বরিতসিদ্ধান্ত নিয়েছি। মূল ঘটনার সাথে জড়িত তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ড নিয়েবিএনপির কোনো উদ্বেগ নেই, এটি নিয়ে তারা আন্দোলন করতে চায়। তা না হলে তারা এখনও কেনউস্কানি দেবে? এখানে তাদের আন্দোলনের ইস্যু তৈরির চেষ্টা করছে উস্কানি দিয়ে, দেশে একটাবিশৃঙ্খলা তৈরি করা যায় কি না।”
বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পেছনে তাদেরভূমিকা আছে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “না সেভাবে আমি বলব না, সাধারণ শিক্ষার্থীদেরঅনেক আবেগ আছে, সেন্টিমেন্ট আছে। আমি তাদের অনুরোধ করেছি পড়াশোনায় ফিরে যাওয়ার জন্য।”
সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় বিএনপিমহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগেরসাধারণ সম্পাদক বলেন, “দেখা হলে ভালো হত, দেখা হয়নি। আমি যে দিন পৌছেছি তার আগের দিনসে চলে আসে।”
বিএনপি নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিনকেগ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিএনপির বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ইঙ্গিত দিল কি না জানতেচাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “হার্ডলাইনে যাওয়ার পক্ষপাতি আমরা না। আমরাও চাই না কোনপ্রকার সংঘাতে যেতে।”