পরিকল্পিতভাবে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পাঁয়তারা চলছে: রিজভী

সরকার পরিকল্পিতভাবে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Oct 2019, 11:56 AM
Updated : 14 Oct 2019, 11:56 AM

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ছাত্রলীগের অপকর্ম দিয়ে ছাত্র রাজনীতি বা সাংগঠনিক রাজনীতি ক্যাম্পাসে বন্ধের উদ্যোগ চলছে। কারণ সরকার এটি করেছে পরিকল্পিতভাবে। বিরাজনীতিকরণের এটি একটি দৃষ্টান্ত।

“এটি বহু আগে ওয়ান-ইলেভেন থেকেই শুরু হয়েছে। একটি ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে, তাই ছাত্রলীগকে দিয়েই, নিজের সন্তানদের দিয়েই সেই ক্ষেত্র প্রস্তুত করলেন তারা।”

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, “ছাত্র রাজনীতি অপভ্রংশ অপরাজনীতি তথা সন্ত্রাস-দুর্নীতি এবং রক্তপাতের অজুহাতে সমগ্র ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দেওয়াটা গভীর মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ। ছাত্র রাজনীতিকে যারা কলুষিত করেছে, মারামারি-দলাদলিকে যারা উৎসাহিত করেছে, ক্যাম্পাসে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা বিস্তারে যারা মদদ দিয়েছে তারাই প্রকৃত ছাত্র রাজনীতিকে মানুষের চোখে হেয় করেছে, তারাই এখন সমগ্র ছাত্র রাজনীতিকে বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “ছাত্রলীগের কদাচারের জন্য সমগ্র ছাত্র সমাজ বা ছাত্র রাজনীতি দায়ী হতে পারে না। এর জন্য বহু শতাব্দীর একাডেমিক ফ্রিডমসহ বহু মুক্তি আন্দোলন সংগ্রামের পথিকৃৎ ছাত্র সমাজে ছাত্র রাজনীতিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো ঠিক নয়।”

ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড  প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ছাত্র সমাজের সেই মহিমামণ্ডিত ঐতিহ্য ম্লান করেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠির ছাত্র সংগঠন। স্বাধীনতার পরপরই ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও শহীদ মিনারে ছাত্রী লাঞ্ছনার মধ্য দিয়ে এই ছাত্রলীগ তাদের যাত্রা শুরু। তাদের উত্তরসূরিরাই বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে হলে প্রচলিত বিধিবিধানকে তোয়াক্কা না করে নিষ্ঠুর ও সর্বনাশা নির্যাতন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে সরকারের ছত্রছায়ায়।”

সরকারের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরঙ্কুশ আনুগত্যের কারণেই ‘ছাত্রলীগ বিচারের তোয়াক্কা করছে না’ বলে মন্তব্য করেন রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরফত আলী সপু, আবু নাসের ‍মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম, কাজী রফিক, আবদুল খালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।