কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা রোববার বিকাল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে র্যালি সহকারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের দ্বিতীয় ফটক দিয়ে বেরিয়ে একশ গজ এগোলেই পথ আটকায় পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা এসে ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রব ও মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ‘র্যালি করা যাবে না’ বলে জানান। ‘আমরা শোক র্যালি করব’ বলে জবাব আসে তাদের থেকে।
উভয়পক্ষের কথোপকথন চলার মধ্যে প্রায় ৬ থেকে ৭ মিনিট কালো পতাকা হাতে নেতা-কর্মীর শ্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের প্রেস ক্লাবের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয় পুলিশ। ঐক্যফ্রন্টের এই শোক র্যালি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
নিজের গাড়িতে বসে র্যালিতে যোগ দিয়েছিলেন কামাল হোসেন। পুলিশ কর্মসূচি পণ্ড করে দেওয়ার পর কামাল হোসেনের গাড়িটি চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
পুলিশি বাধায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রব বলেন, “এখানে আমাদের শান্তিপূর্ণ র্যালি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। আমি বলতে চাই, এখানে আপনারা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। সারা বাংলাদেশের ঘর থেকে বেরুলে রাস্তা বন্ধ করবেন কীভাবে? প্রত্যেকের ঘর থেকে বেরোবে, সব পুলিশ, আর্মি, নেভির ঘর থেকে বেরোবে।
র্যালি শুরুর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সমাবেশে ফ্রন্টের পক্ষ থেকে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান আবরার হত্যার প্রতিবাদে আগামী ১৮ অক্টোবর ঢাকায় উন্মুক্ত স্থানে বড় আকারে শোকসভার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
“আপনারা নিজেদের যা যা মাধ্যম আছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে, ঢাকা মহানগরের কোটি কোটি মানুষ আছে তাদের প্রত্যেকের কাছে খবর দিতে হবে ১৮ তারিখে ঢাকা মহানগরে জাতীয় শোকসভা হবে। এটাই আমাদের প্রধান কর্মসূচি।”
এদিন ঐক্যফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা হওয়ার কথা থাকলেও আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তা বাদ দিয়ে এই শোক র্যালির কর্মসূচি নিয়েছিল তারা।