তার নামে থাকা সব হিসাবের লেনদেন তথ্য, বিবরণীসহ তিন কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে বৃহস্পতিবার সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে ব্যাংক হিসাব তলব করা হলেও ওমর ফারুক চৌধুরীর ক্ষেত্রে ভিন্ন পথ অবলম্বন করেছে ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিলিজেন্স ইউনিট- এফআইইউ।
এফআইইউ থেকে সব ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে ওমর ফারুকের নাম এবং তার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বর পাঠিয়ে তার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তিন দিনের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেক কিছু বিবেচনা করে আমরা এই পথ অবলম্বন করেছি। যেহেতু তিনি সরকারি দলের যুব সংগঠনের শীর্ষ নেতা; বেশ প্রভাবশালী। সে কারণে আমরা এই পদ্ধতিতে তার ব্যাংক হিসাবের খোঁজ-খবর নিচ্ছি।”
ওমর ফারুক প্রধানমন্ত্রীর ফুফাত বোনের স্বামী; তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ভগ্নিপতি।
সম্প্রতি র্যাবের অভিযানে ক্রীড়া ক্লাবগুলোতে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনায় যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতার সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে।
অভিযান শুরুর দিন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করা হয় ঠিকাদার জি কে শামীমকে।
ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের নাম আলোচনায় আসার পর তার ব্যাংক হিসাবও জব্দ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
যুবলীগের আরেক নেতা ও ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতেও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও খবর