সোমবার দুপুরে ওই হামলায় আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তিনি বলেন, “অত্যন্ত সফল সম্মেলন ও নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে ছাত্রদল নতুন উদ্যোগ নিয়ে, নতুন একটা স্বপ্ন সৃষ্টি করে বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করছিল।
“ঠিক সেই সময়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিশেষ করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আজকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপরে যে আক্রমণ চালিয়েছে, এটা শুধু ন্যাক্কারজনকই নয়, এটা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত মনে করছি। আমরা মনে করি, ছাত্রদলের ওপরে এই হামলা গণতন্ত্রের ওপরে হামলা। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।”
আহতদের প্রথমে ঢাকা মেডকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরে তাদেরকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিকাল সাড়ে ৪টায় বিএনপি মহাসচিব আহত নেতাকর্মীদের দেখতে যান। তিনি তাদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শোনেন। মির্জা ফখরুল তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবরও নেন।
মির্জা ফখরুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আওয়ামী লীগ সব সময় সন্ত্রাসী দল, ছাত্রলীগ তো বটেই। ছাত্র রাজনীতির যে একটা নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে যাচ্ছিল ছাত্রদল, সেই অধ্যায়কে সমূলে বিনষ্ট করবার জন্য একটা পাঁয়তারা। কারণ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় গত কয়েদিন ধরে আমরা যা দেখছি- চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সব রকমের অন্যায়-অপকর্ম তারা করছে। সন্ত্রাস তারা সব সময় করে এসছে। সেই সন্ত্রাসের একটা নজির আজকে দেশবাসী দেখতে পেলো।
সাবেক ছাত্রনেতা খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, শহিদুল ইসলাম বাবুল, রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মহাসচিবের আগে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসও আহতদের দেখে আসেন।