শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি তোলা হয়।
মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন।
জামাল উদ্দিন বলেন, “সংগঠনের দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ মনে করে, যুবলীগের শীর্ষ পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী এবং হারুনুর রশীদ। তাই আপনারা দ্রুত পদত্যাগ করে যুবলীগের ভাবমূর্তি রক্ষা করুন।”
যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে এতদিন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার ক্ষোভ জানান তিনি।
“যুবলীগ চেয়ারম্যান তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। বিএনপি থেকে আসা নেতা জি কে শামীম, খালেদ ভূইয়াকে যুবলীগে জায়গা দিয়েছেন, বড় পদে বসিয়েছেন। সুসময়ে জি কে শামীম-খালেদ ভূইয়াদের সাথে নিয়ে চললেন, কিন্তু গ্রেপ্তারের পর আর তাদের চিনতে পারেন না।”
যুবলীগের কমিটির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার তথ্য তুলে ধরে অধ্যাপক জাসাল বলেন, “নিয়মিত নেতৃত্বের পরিবর্তন না হওয়ার কারণে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।
“যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ বিতর্কিত নেতাদের এসব অপকর্মের দায়ভার কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে অবিলম্বে যুবলীগের দায়িত্ব থেকে তাদের পদত্যাগ করতে হবে।”
যুবলীগ নেতারা পদত্যাগ না করলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
অধ্যাপক জামাল বলেন, “কারও ব্যক্তিগত অপকর্ম-অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ভার দেশরত্ন শেখ হাসিনা নেবেন না। যুবলীগে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড নেতারা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। শেখ হাসিনার সকল উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।”
গণমাধ্যমে ওমর ফারুকের দেওয়া বক্তব্যকে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে জামাল বলেন, “তিনি এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে হুমকি দিয়েছেন। যা দেশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য হুমকি স্বরূপ।
“এদের আশ্রয়দাতা কারা? এদেরকে দলে কে জায়গা দিয়েছে? এরা কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চর্চা করে না। এরা টাকা দিয়ে পদ নিয়ে নানান অপকর্ম করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে।”
জুয়ার আখড়া বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান মুক্তিযুদ্ধে মঞ্চের আহ্বায়ক।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং গোপালগঞ্চের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগও দাবি করা হয়।
অধ্যাপক জামাল বলেন, “এই দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অরাজকতার হাত থেকে বাঁচাতে এই দুই কুলাঙ্গার ভিসির পদত্যাগ করতে হবে।”