এই দাবির পক্ষে যুক্তি দিয়ে অর্থনীতির সাবেক এই অধ্যাপক বলেছেন, “কেন যাবে? আমরা অর্থনৈতিক দিক থেকে ওদের চেয়ে অনেক ভালো আছি। আমাদের লোক ভারতে যাওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না।”
প্রায় চার বছর ধরে যাচাই-বাছাইয়ের পর ভারতের আসাম সরকার সম্প্রতি ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স-এনআরসির (নাগরিকপঞ্জি) চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন জায়গা পেয়েছেন, বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন।
এই তালিকা ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ এবং এ নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করে আসছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। তবে আসামের অর্থমন্ত্রী বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, বাদ পড়াদের মধ্যে ১৪-১৫ লাখ ‘অবৈধ অভিবাসীকে’ বাংলাদেশকে ফেরত নিতে বলবেন তারা।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এই প্রসঙ্গ তোলেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল।
তিনি বলেন, “সরকার একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরৎ পাঠাতে পারেনি। ১০ লাখ রোহিঙ্গা এই দেশে বসে আছে দুই বছর ধরে। উপরন্তু আরও বিপদ। আসামের যে নতুন নাগরিকপঞ্জি তৈরি করা হয়েছে সেখানে ১৯ লাখ লোক বাদ পড়েছে। বাদ পড়ুক আমাদের কোনো আপত্তি নেই, আসামে যা খুশি তাই হোক আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
“কিন্তু তাদের (আসাম) মন্ত্রীরা যখন বলে তারা বাংলাদেশি, তাদেরকে ফেরত পাঠাতে হবে, তখন নিশ্চয়ই এটা আমার সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি, আমাদের কোনো মানুষ ১৯৭১ সালের পরে ভারতে যায় নাই।
“…আমরা কারো অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলাতে চাই না। আমরা আমাদের সমস্যা যাতে না হয় সেই কথা বলতে চাই। আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন সরকার এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো কথা বলছে না।”