আদালতে ফয়সালা করেই ছাত্রদলের কাউন্সিল: দুদু

আইনি লড়াই চালিয়ে স্থগিতাদেশ তোলার পরই ছাত্রদলের কাউন্সিল আয়োজন হবে বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Sept 2019, 10:12 AM
Updated : 14 Sept 2019, 10:12 AM

আদালতের স্থগিতাদেশে কাউন্সিল আটকে যাওয়ায় ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের হতাশার মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের শামসুজ্জামান দুদু একথা জানিয়েছেন।

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দুদু সংগঠনের এবারের কাউন্সিল পরিচালনায় গঠিত আপিল কমিটির প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন।

কমিটি বিলুপ্তির পর সব প্রক্রিয়া সেরে শনিবার ছাত্রদলের কাউন্সিল আয়োজনের দিন ঠিক ছিল। কিন্তু দুদিন আগে ছাত্রদলের এই নেতার আবেদনে আদালত কাউন্সিল স্থগিত করে।

স্থগিতাদেশের পর করণীয় ঠিক করতে শুক্রবার সাবেক ছাত্রনেতারা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ আইনজীবীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে নিম্ন আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

শামসুজ্জামান দুদু শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আদালত যাব, এটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থগিতাদেশের বিষয়টি ফয়সালা হলে কাউন্সিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।”

আদালতের স্থগিতাদেশের পর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চতুর্থ তলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় শনিবার সকালে ছিল বন্ধ।

তবে সামনের সড়কে কয়েকশ কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের কর্মী সোহরাব হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেক আশা নিয়ে আমরা ১৪ সেপ্টেম্বরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম- নির্বাচন হবে, আনন্দ করব। সব কিছুই ওলট-পালট হয়ে গেল।”

বিএনপি নেতাদের মতো তিনিও বলেন, “সরকারের যোগসাজশেই আদালত এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে। কিন্তু এতে ছাত্রদলের কোনো ক্ষতি হয়নি, বরং সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।”

কবি নজরুল কলেজের ছাত্রদলকর্মী রিজভী নেওয়াজ বলেন, “কাউন্সিল কবে হবে, তা নিয়ে আমরা অনিশ্চয়তায়। যে মামলা করা হয়েছে, তার ফয়সালা কী সহসা হবে?”

কাউন্সিল পরিচালনায় যুক্ত ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববারই আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে যাবেন। স্থগিতাদেশ উঠে গেলেই খুব শিগগিরই কাউন্সিল হবে।

তারা বলেন, কাউন্সিলে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। শুধু ভোট গ্রহণই বাকি ছিল। স্থগিতাদেশ উঠে গেলে যে কোনো সময়েই কাউন্সিল আয়োজন করা যাবে।

ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ৫৩৩ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন।