বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন পেয়েছেন এ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব। তার সঙ্গে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও আজিজুল বারী হেলাল সহকারী রিটার্নিং অফিসার, এবিএম মোশাররফ হোসেন, শফিউল বারী বাবু ও সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু পোলিং অফিসারের দায়িত্বে থাকবেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল কবির খোকন বৃহস্পতিবার জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের এই কাউন্সিল পরযবেক্ষণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
“এই নির্বাচনটা যেন স্বচ্ছ হয়, বিতর্কের উর্ধ্বে থাকে, কোনো কারণে যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তার সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমের কাছে অনুরোধ থাকবে, যদি কোনো ধরনের সংশয় থাকে, প্রশ্ন থাকে, সে বিষয়ে আপনারা আমাদের জানাবেন।”
আগামী শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ছাত্রদলের কাউন্সিলে ভোটগ্রহণ হবে। গণনা শেষে সেদিনই গণমাধ্যমের সামনে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। ভোটগ্রহনের স্থান শুক্রবার জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান।
সভাপতি প্রার্থীরা হলেন: কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, হাফিজুর রহমান, রিয়াদ মো. তানভীর রেজা রুবেল, মো. এরশাদ খান, মো. ফজলুর রহমান খোকন, এসএম সাজিদ হাসান বাবু, এ বিএম মাহমুদ আলম সরদার ও মামুন খান।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীরা হলেন: মো. জুয়েল হাওলাদার (সাইফ মাহমুদজুয়েল), মো. আমিনুর রহমান আমিন, শেখ আবু তাহের, শাহ নাওয়াজ, মো. জাকিরুল ইসলাম জাকির, মোহাম্মদ কারিমুল হাই (নাঈম), মাজেদুল ইসলাম রুমন, ডালিয়া রহমান, সাদিকুর রহমান, কে এমসাখাওয়াত হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম, মো. ইকবাল হোসেন শ্যামল, মো. হাসান (তানজিল হাসান), মুন্সি আনিসুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান শরিফ, শেখ মো. মশিউর রহমান রনি, মোস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানা, কাজী মাজহারুল ইসলাম।
ছাত্রদলের ১১৭টি ইউনিটের ৫৩৩ জন কাউন্সিলর এবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট দেবেন। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কাউন্সিলারদের মধ্যে কার্ড বিতরণও শুরু হয়েছে।
নির্বা্চন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন বলেন, “আমরা চাই ছাত্ররাই তাদের ভোটের মধ্য দিয়ে নেতা নির্বাচন করবেন। সেখানে কোনো পিক অ্যান্ড চুজ সিলেকশন হবে না। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই উদ্যোগ নিয়েছেন এবং তিনি প্রত্যক্ষভাবে আমাদের এই দিক নির্দেশনা দিয়েছেন যে, ছাত্রদলকে এবার ঢেলে সাজাতে হবে।”
এ কাউন্সিলের মাধ্যমে ছাত্রদল পুরনো ‘ঐতিহ্য’ আবার ফিরে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
“আমরা একটা দৃষ্টান্ত করতে চাই, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছাত্র নেতৃত্ব তৈরি করতে চাই। নিয়মিত ছাত্র, অবিবাহিত- তারাই শুধু ছাত্র নেতৃত্বে আসবে। অছাত্র, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীরা ছাত্ররাজনীতি করতে পারবে না।”
এক প্রশ্নের জবাবে খোকন বলেন, “আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, আমরা কোনো অবস্থায় প্রভাবিত হব ন। কোনো সিন্ডিকেট কাজ করবে না, লাইকিং-ডিজলাইকিং কাজ করবে না। সবাই আমরা সাবেক ছাত্রদল নেতা নিরপেক্ষভাবে এই কাউন্সিল সম্পন্ন করব। ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাররা ভোট দেবে।”