জামায়াত-শিবির হল এজিদের উত্তরসূরি: মাইজভান্ডারী

তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.) কে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে হত্যাকারী এজিদের উত্তরসূরিরাই বাংলাদেশে জামায়াত-শিবিরের নামে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2019, 02:43 PM
Updated : 10 Sept 2019, 02:45 PM

মঙ্গলবার ধানমণ্ডিতে দলীয় কার্যালয়ে ‘পবিত্র আশুরার দিনে মহান শাহাদাৎ-এ কারবালার তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।

মাইজভান্ডারী বলেন, “পাপিস্ট জালিম ইয়াজিদ আজ নেই, কিন্তু তাদের উত্তরসূরি ওহাবী, জামায়েতসহ বিভিন্ন নামে বেনামে তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে শান্তি ও মানবতার ধর্ম পবিত্র ইসলাম আজ প্রশ্নবিদ্ধ। তাই হোসাইন (রা.) এর আত্মাকে ধারণ করে এদেরকে চিহ্নিত করে তাদের সাথে যারা জোট করে এবং মদদ দেয় তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং নতুন করে শপথ নিতে হবে।

“এই জামাত-শিবির এরা কারা? এরা এজিদের বংশধর। এই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিরাই এজিদের বংশধর।”

সরকারের আশ্রয়ে ইসলামের নামে নানা সংগঠন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে একটা চক্র উঠেপড়ে লেগেছে, যার পরিণতি ভয়াবহ হবে। সরকারের কিছু লোকের কারণে আজকে এই দেশে রাজনীতি করছে, এই দেশে এর আগে আহলে হাদিসের নামে কোনো সম্মেলন হয়নি। সরকার প্রধানের একজন উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে প্রধান অতিথি করে আহলে হাদিস সম্মেলন করেছে। সালাফিরাও প্রস্ততি নিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।

“এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী জামায়াত-শিবির সরকারের সঙ্গে নীরবে মিশে গিয়ে তাদের কাজ চালাচ্ছে। আমাদের বিচ্ছিন্ন করে এজিদ বাহিনীকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। এর পরিণতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।”

‘সরকারের সঙ্গে মিশে গিয়ে’ স্বাধীনতাবিরোধী এজিদের বংশধরেরা তরিকতপন্থি আলেমদের উপর নানাভাবে আক্রমণ চালানোর পাঁয়তারা করছে বলেও অভিযোগ করেন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।

তিনি বলেন, “আমাদের অনেক আলেমদের উপর আক্রমণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমি বলতে চাই, একজন তরিকত ফেডারেশনের সুন্নি আলেমদের উপর আক্রমণ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, প্রয়োজনে দাঙ্গা হবে। আমাদের অচল মনে করলে ভুল করবেন।স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি তরিকত ফেডারেশন, তরিকতের উপর আঘাত আসলে প্রয়োজনে জীবন দিয়ে দেব।

“সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, সরকার এবং বিরোধী দলে যারা থাকবে উভয়েই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হতে হবে। তাহলে ওহাবী, আহলে হাদিস, কওমিদের কেন এত সুযোগ দেওয়া হচ্ছে? আমাদের শক্তিশালী করতে এগিয়ে আসুন। সারা বাংলাদেশে লাখ লাখ সুন্নি আলেম স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে তরিকত ফেডারেশন করছে।”

নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীরর সভাপতিত্বে সভায় দলের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ হাবিবুল বশর মাইজভান্ডারী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।