তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রকামী কোনো দল কিংবা লোক আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে নেই।
“এরশাদ এক গণতন্ত্র হত্যাকারী ছিলেন, তার দল আজকে শেখ হাসিনার জোটের অংশীদার। এই জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের হানিমুনের পতন না ঘটালে পরে আজকে নাগরিক স্বাধীনতা ও সত্যিকারের গণতন্ত্র ফিরে আসবে না।”
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী এ কথা বলেন।
ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “আজকে গণতন্ত্রের স্পেসগুলো দেখুন সব বন্ধ করে দিচ্ছে। মিডিয়ার স্বাধীনতা একেবারে সঙ্কুচিত করে রেখেছে। কেউ যদি সরকারের বিরুদ্ধে সত্য কথা উচ্চারণ করে, এই উচ্চারণ করতে গিয়ে তাদের বোরকা যদি খুলে যায়, বোরকার নিচে তাদের নগ্ন চরিত্র যখন প্রকাশ পায়, তখন তারা অস্থির হয়ে যায়।
“এ কারণে আজকে নাগরিক অধিকার, মানবাধিকার, মিডিয়া, রাজনৈতিক দল- যারা সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তারা বন্দি, তারা গুম, তারা বিচারবর্হিভূত হত্যার শিকার। এটা চলতে পারে না।”
রিজভী বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লক্ষ লোক শুধু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য জীবন দিয়েছে? ২ লক্ষ লোক শুধু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য লাঞ্ছিত হয়েছে? একদল, নির্যাতনকারী দল, গণতন্ত্র হত্যাকারী দলকে ক্ষমতায় রাখার জন্য এত রক্ত শহীদরা দেননি।”
সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানান রিজভী।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আগে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের উদ্যোগে রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি মিছিল বের হয়। নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবার দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয় সে মিছিল।