এরশাদের ভাতিজা সাবেক সাংসদ আশিফ শাহারিয়ারের সমর্থকরা সোমবার রাত ১০টার দিকে রংপুর সদরের পালিচড়াহাটে এরশাদের বড় ছেলে রাহগীর আল মাহী সাদ এরশাদের কুশপুত্তলিকা পোড়ালে ওই উত্তেজনার সূচনা হয়।
স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়েই এ দ্বন্দ্ব। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ৫ অক্টোবর ভোটের দিন রেখে এ উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।
সাবেক সাংসদ আশিফ শাহারিয়ার ওই আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী। দলের সাবেক এই যুগ্ম মহাসচিব এর আগে রংপুরের মেয়র নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে এরশাদ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন।
আবার এরশাদের বড় ছেলে সাদকে এ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী করা হতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে। সাদের মা ও দলের সিনিয়র কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ ছেলেকে রাজনীতিতে সক্রিয় করতে চাইছেন বেশ কিছুদিন ধরেই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আশিফ শাহারিয়ারের অনুসারী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মতিন মিয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রায়হানুর রহমান রায়হানের নেতৃত্বে স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী রাতে পালিচড়াহাটে সাদ এরশাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
সাদের সমর্থকরা এ সময় প্রতিবাদ করলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে আসিফ শাহরিয়ারের এক সমর্থককে ধরে পিটুনিও দেওয়া হয়।
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার পর সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সাদের পক্ষে জাতীয় পার্টির কর্মীরা রাতে ওই এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে।
রংপুর সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন বলেন, “আসিফ শাহরিয়ারের সমর্থকরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি আমরা দলের মহাসচিবকে অবহিত করেছি।”
তবে এ বিষয়ে আশিফ শাহারিয়ারের বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।