রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকারের কোনো বন্ধু নেই: ফখরুল

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকার ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা, তাদের কোনো বন্ধু নেই।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2019, 04:42 PM
Updated : 1 Sept 2019, 04:42 PM

রোববার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

মির্জ ফখরুল বলেন, “আজকে দুই বছর চলে গেল, দুইবার চেষ্টা করেছে। একবারের জন্যে একজন রোহিঙ্গাকেও তারা ফেরত পাঠাতে পারেনি। তাদের সম্পূর্ণভাবে কূটনৈতিক ব্যর্থতা, আজকে তাদের বন্ধুও নেই।

“তারা বড় গলায় বলে যে, চীনের সঙ্গে তাদের না কি বন্ধুত্ব সুউচ্চ পর্বতের মত, হিমালয় পাহাড়। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরো বেশি। তাহলে কি হলো? ভারত কি অবস্থান নিয়েছে, চীন কি অবস্থান নিয়েছে? কেন তাদেরকে এই সরকার বুঝাতে পারছে না? কেন তাদেরকে পথে আনতে পারছে না?”

বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, ১৯৭৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মিয়ানমারের সাথে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে এবং ১৯৯২ সালে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতিসংঘকে যুক্ত করে মিয়ানমারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে প্রায় দুই লাখ ৩৩ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ারমারে ফেরত পাঠিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, “এজন্যই এখন বিএনপির প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। এই দল বাংলাদেশের জনগণের দল, তাদের আশা-আকাঙ্খার দল এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সেই নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন।”

প্রায় ১৮ মাস ধরে কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে মহাসচিব বলেন, “গতকাল আমি খবর নিয়েছি, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ, এখন হাঁটতে পারেন না, তার ব্লাড প্রেসার-সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। এই অবস্থাও তিনি মাথা নত করেননি।”

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলকে ‘সুসংহত করার শপথ’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, “আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় তারেক রহমান সাহেব তার অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে দলকে ইতোমধ্যেই সুসংগঠিত করবার কাজ শুরু করেছেন।”

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ ও খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বক্তব্য দেন।

এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, অঙ্গসংগঠনের হাবিবউন নবী খান সোহেল, আহসানউল্লাহ হাসান, সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু, মোস্তাফিজুর রহমান, হেলেন জেরিন খান, মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার বক্তব্য দেন।

২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, অ্যাডভোকেট এম এ রকীব, মাওলানা নুর হোসেইন কাসেমী, রেদোয়ান আহমেদ, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খোন্দকার লুৎফর রহমান, সাইফুদ্দিন মনি, সৈয়দ মাহবুব হোসেন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

এর আগে সকাল ১০টায় শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিএনপি মহাসচিব।