তিনি বলছেন, বাংলাদেশে আইএস এর কোনো ‘অস্তিত্ব নেই’। কোনো ঘটনার পর আইএসের দায় স্বীকারের দাবি কোত্থেকে কীভাবে আসে, সে বিষটিও তার ‘জানা নেই’।
“কোনো সময় গাড়ির চাকা বার্স্ট হলে সেটাও আইএস করেছে বলবে। আমার সন্দেহ হচ্ছে...। বাংলাদেশে একটি পটকা ফুটলে বা একটি বোমা ফুটলে সেটাই আইএস!”
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম শনিবার রাতে ধানমণ্ডিতে যাওয়ার পথে তার গাড়িবহর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পেরিয়ে সিটি কলেজের সামনের রাস্তায় ঢোকার আগে পুলিশ বক্সের সামনে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে মন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত একজনসহ দুজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
এরপর শনিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ খবর দেয়, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি দল আইএস ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
রোববার দুপুরে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “আমরা জঙ্গি অবদমন করতে পেরেছি, কিন্তু জঙ্গি পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। অগাস্ট মাসের শেষ দিনে জঙ্গিরা একটি বোমা ফুটিয়ে জানান দেওয়ার চেষ্টা করেছে যে তারা এখনো নির্মূল হয়নি। আমরা জাতিকে সাথে নিয়ে তাদের নির্মূল করার জন্য বদ্ধপরিকর “
বিএনপিসহ কিছু দল ‘জঙ্গিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে’ অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান বলেন, “তাদের প্রতি অনুরোধ, আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়ার যে রাজনীতি করেন, তা থেকে বেরিয়ে আসেন।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বিএনপির ৪১ বছরের ইতিহাসে তারা ক্ষমতা দখল করেছিল, ক্ষমতায় গিয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে কিন্তু দেশকে তারা সুশাসন দিতে পারেনি। বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন দুর্নীতি-দুঃশাসন শুধু নয়, দেশ জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল।”
সড়ক দুর্ঘটনায় বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় চৌধুরীর পা হারানোর ঘটনা নিয়ে এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আসলে বাংলাদেশে কিছু চালক, আমি সব চালককে বলব না, যেভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, এটি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমি মনে করি সবারই সচেতন হওয়া প্রয়োজন।”
চালক ছাড়া অন্য কাউকে স্টিয়ারিংয়ে বসার সুযোগ যেন না দেওয়া হয়, সেজন্য বাস-ট্রাক মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতি অনুরোধ রাখেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “গত কিছু দিনের মধ্যে যেসব দুর্ঘটনা হয়েছে, সেখানে অনেক ক্ষেত্রে ড্রাইভার নয়, হেলপার গাড়ি চালাচ্ছে।”
কৃষ্ণা রায়ের পা হারানোর ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “যাদের কারণে হয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। সরকারও সে লক্ষ্যে কাজ করছে।”